পাস দিতে না পেয়ে পুসকাস জয়ী গোলটি দিয়েছিলেন সন
ম্যাচের তখন ৩২ মিনিট চলে। দল এগিয়ে ২-০ গোলের ব্যবধানে। সমতায় ফিরতে আক্রমণ করেছিল বার্নলি। কিন্তু প্রতিপক্ষ ডি-বক্সে বল হারায় তারা। একেবারে ডি-বক্সের কাছ থেকে বল পান সন হিউং-মিন। এরপর সেখান থেকেই কাটিয়েই অসাধারণ একটি গোল দেন এ কোরিয়ান তারকা। যে গোলটি গত মৌসুমের সেরা গোলের মর্যাদা পায়।
কিন্তু সেই গোলটি অনেকটা বাধ্য হয়েই দিয়েছিলেন সন। বল পাওয়ার পর আশেপাশে নিজের সতীর্থদের খুঁজেছিলেন সন। কিন্তু পাস দেওয়ার মতো কাউকে পাননি। পরে বাধ্য হয়েই ড্রিবলিং করা শুরু করেন। এরপর প্রতিপক্ষ শিবিরে ঢোকার পর একসময় দেখেন সামনে কেবল গোলরক্ষকই আছেন। পরে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ ফরোয়ার্ড।
আর সেই গোলটির জন্য বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার সদর দপ্তরে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ড’ ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ফিফা পুসকাস অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন সন। সে অনুষ্ঠানেই নিজের গোল নিয়ে সন বলেন, 'অসাধারণ! এটা সত্যিই দারুণ। যখন আমি বলটা পাই, আমি চেষ্টা করেছিলাম পাস দিতে। আমার নিজের বক্সে বল পাই, কিন্তু আশে পাশে কাউকে পাইনি এবং আমি ড্রিবলিং শুরু করি এবং দুই সেকেন্ড পর আমি নিজেকে গোলের সামনে পাই। এটা সত্যিই বিস্ময়কর ছিল, কি সুন্দর গোল।'
এমন গোলের পর সতীর্থদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি এ কোরিয়ান তারকা, 'তাদের (আমার সতীর্থরা) আমাকে আরও বিকল্প দেওয়া উচিৎ ছিল... আমি মজা করলাম। আমি দারুণ একটি দৌড় দেই, দারুণ গোল। তাই আমি আমার সতীর্থদের কাছে কৃতজ্ঞ।'
তবে গোলটি যে এতো সুন্দর হয়েছে মাঠে তখন বুঝতে পারেননি সন। পরে ম্যাচ শেষে রিপ্লে দেখে বুঝতে পেরেছেন কি গোল দিয়েছেন তিনি, 'গোল করার পর আমি বুঝতে পারিনি এটা এতোটা সুন্দর হয়েছে। ম্যাচের পর আমি এটা আবার দেখি। এবং তখন ভাবি, ওয়াও, এটা স্পেশাল কিছু।'
আর নিজের গোলটি সেরা বলার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন এ ফরোয়ার্ড, 'ম্যাচটি আপনি ফোকাস করলে দেখবেন, পরে আমি এত অবাক হয়েছি যে আমি এত দূরে ছিলাম, আমার চারপাশে অনেক লোক ছিল। এটি একটি বিস্ময়কর অনুভূতি ছিল।'
Comments