আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০২০

প্রবাসী আয়ে বেশ গতি, কোভিডে তিন দুর্গতি

অর্থনীতির মানুষ নই। কিন্তু, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কেউ জানতে চাইলে তিনটি অক্ষর বলি। ই, এফ এবং জি। ই মানে এক্সপেট্রিয়েট ওয়ার্কার বা প্রবাসী শ্রমিক। এফ মানে ফার্মারস বা কৃষক। আর জি মানে গার্মেন্টস ওয়ার্কার বা পোশাক শ্রমিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আসলে এই তিন খাত। এর মধ্যে প্রবাসী আয়ে তো নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমনকি বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
নভেম্বরের শুরুর দিকে উড়োজাহাজের টিকিট, ভিসা ও ইকামার মেয়াদ বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন অভিবাসী শ্রমিকরা।

অর্থনীতির মানুষ নই। কিন্তু, বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে কেউ জানতে চাইলে তিনটি অক্ষর বলি। ই, এফ এবং জি। ই মানে এক্সপেট্রিয়েট ওয়ার্কার বা প্রবাসী শ্রমিক। এফ মানে ফার্মারস বা কৃষক। আর জি মানে গার্মেন্টস ওয়ার্কার বা পোশাক শ্রমিক। বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত আসলে এই তিন খাত। এর মধ্যে প্রবাসী আয়ে তো নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। এমনকি বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত এক বছরে রিজার্ভ বেড়েছে এক হাজার কোটি ডলারের বেশি। গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে ৪২ দশমিক ০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড গড়েছে। শুধু ডিসেম্বরের ১৪ দিনে এক দশমিক ০৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। শিগগির বাংলাদেশের রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন অতিক্রম করবে বলে আশা করছে সরকার। কিন্তু, যেই প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে এই প্রবাসী আয় পাঠাচ্ছেন, তাদের সম্মান ও মর্যাদা দেওয়ার দিক থেকে বহু পিছিয়ে বাংলাদেশ।

এর বদলে পদে পদে আছে ভোগান্তি ও হয়রানি। পাসপোর্ট তৈরি থেকেই এর শুরু। এরপর রিক্রুটিং এজেন্সির দালাল ও প্রতারক এজেন্সি, চাকরির বিষয়ে অসত্য তথ্য, উচ্চমূল্যে ভিসা কেনা-বেচা, স্বাস্থ্যপরীক্ষা, সরকারি ছাড়পত্র— সবক্ষেত্রে সীমাহীন যন্ত্রণা। দেশের আকাশ পার হলে শুরু হয় বিরূপ প্রকৃতি, অমানুষিক পরিশ্রম, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে জীবনযাপন, মালিকদের প্রতারণা, নির্যাতনসহ আরও কত কী। বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে গেলে কাঙ্ক্ষিত সেবা মেলে না, দেশে ফিরলেও ভোগান্তি। পুরনো এসবের সঙ্গে কোভিড-১৯ কিন্তু সেই সংকট আরও বাড়িয়েছে।

বাংলাদেশের জন্য এই সংকটটা ছিল মূলত তিন ধরনের। প্রথমত, স্বাভাবিক বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রায় বন্ধ। দ্বিতীয়ত, ছুটিতে দেশে এসে করোনার কারণে লকডাউনে আটকে পড়েছেন লাখখানেকেরও বেশি মানুষ। এদের কেউ কেউ বিদেশে গেলেও অনেকেই যেতে পারেননি। তৃতীয়ত, কোটি প্রবাসী এখন ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সংকটময় সময় পার করছেন। এদের অনেকেই কাজ হারিয়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন।

এমন পরিস্থিতিতেই সারা বিশ্বের মতো আজ বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস। বাংলাদেশ এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ঠিক করেছে— ‘মুজিব বর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশে যান’।

অবশ্য বিদেশ যান বললেই এ বছর আর আগের মতো যাওয়া যাচ্ছে না। গত এক যুগ ধরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে ছয় থেকে সাত লাখ মানুষ বিদেশে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। সেই হিসেবে প্রতি মাসে যান ৫০ থেকে ৬০ হাজার কর্মী৷ কিন্তু, করোনার কারণে এপ্রিলে বিদেশে লোক পাঠানো প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়৷ গত কয়েকমাস ধরে সামান্য কিছু কর্মী গেলেও এই বছর দুই লাখ কর্মী বিদেশে যাবেন কি না, তা নিয়েও শঙ্কা আছে। অথচ স্বাভাবিক বছর হলে সাত লাখ কর্মী যেত, যেমনটা গেছে গত বছরও।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, এপ্রিল থেকে নভেম্বর এই আট মাসে অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের বিদেশে কর্মসংস্থান হতো। এর মধ্যে প্রায় এক লাখের পাসপোর্ট-ভিসা সব প্রস্তুত ছিল৷ কিন্তু, তারা করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে যেতে পারেননি। ফলে হাজার কোটি টাকা লগ্নি আটকা পড়েছে এজেন্সিগুলোর৷ ২০২১ সালের জুলাইয়ের আগে পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনাও কম।

একদিকে যেমন কর্মসংস্থান বন্ধ, অন্যদিকে রোজই চাকরি হারিয়ে বিদেশ থেকে ফিরছে কর্মীরা। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের তথ্য অনুযায়ী, স্বাভাবিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এপ্রিল থেকে ১২ ডিসেম্বর এই সময়ে তিন লাখ ৬০ হাজার কর্মী বিদেশ থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। এর মধ্যে ৪৪ হাজারই আবার নারী কর্মী।

ফেরত আসাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সৌদি আরব থেকেই ফিরেছেন এক লাখ সাত হাজার কর্মী। এ ছাড়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ৯৭ হাজার, কাতার থেকে ৪১ হাজার, ওমান থেকে ২১ হাজার, মালয়েশিয়া থেকে ১৫ হাজার ৪১৬, মালদ্বীপ থেকে ১৫ হাজার, কুয়েত থেকে ১৪ হাজার ৬২২ জন, ইরাক থেকে ১০ হাজার, লেবানন থেকে আট হাজার, সিঙ্গাপুর থেকে সাত হাজার ও বাহরাইন থেকে তিন হাজার কর্মী ফিরে এসেছেন। ফেরত আসার এই প্রবণতা আগামী বছরও থাকবে।

বিদেশফেরত এই বাংলাদেশিরা এখন আছেন নানা সংকটে। সরকার অবশ্য বলছে, দেশে তাদের আর্থসামাজিকভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনার কারণে ফেরত আসা প্রত্যাগত শ্রমিক বা তাদের পরিবারের সদস্যরা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সর্বোচ্চ চার শতাংশ সুদে এক লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তবে, নানা জটিলতায় এই তহবিল থেকে প্রবাসী কর্মীরা খুব বেশি সহায়তা পাচ্ছেন না।

অবশ্য ঋণ নিয়ে প্রবাসীরা আসলেই ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন কি না, তা নিয়েও শঙ্কা আছে৷ এক্ষেত্রে তাদের টেকসই পুনরেকত্রীকরণের জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলো সমন্বিত উদ্যোগ নিতে পারে৷ ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়া যায়৷ ফেরত আসা দক্ষ লোকজনকে দেশের ভেতরেই চাকরি দেওয়া যায়৷  

করোনাকালে যেসব দক্ষ কর্মী চাকরি হারিয়েছেন, তাদেরকে সরকার দক্ষতা সনদ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এটি অব্যাহত রাখার পাশাপাশি বিদেশফেরতদের দক্ষতার তালিকা করতে পারলে দেশের ভেতরেই তাদের নানা জায়গায় চাকরি দেওয়া সম্ভব।

তবে, বিদেশফেরতদের প্রতি আমাদের মানসিকতাও বদলাতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় কেউ বিদেশে যাচ্ছেন শুনলে পরিবার, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি হয়। তখন তাকে ধার দেওয়ার লোকেরও অভাব হয় না। কিন্তু, একই মানুষ যখন ফিরে আসেন, তাকে নেতিবাচকভাবে দেখা হয়। অথচ কেউ ফিরে এলে তার পাশে সবার থাকা জরুরি।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর শীর্ষ ১০ দেশের একটি৷ বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বলছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করতে গেছেন। যার মধ্যে ৭৫ শতাংশই আছেন মধ্যপ্রাচ্যে৷ এই প্রবাসীরা কিন্তু করোনাকালে নানা সংকটে পড়েছেন। এখনো সেই সংকট কাটেনি।

প্রবাসীরা বলছেন, লকডাউনের কারণে মার্চ থেকেই সংকটের শুরু। করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রথম যখন লকডাউন দেওয়া হয়, তখন বেশিরভাগেরই কাজ ছিল না। কীভাবে নিজের খরচ চালাবেন, কীভাবেই বা পরিবারকেই টাকা পাঠাবেন, সেই চিন্তায় ছিলেন। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কারণ, কারো বেতন নেই, কারো কমেছে৷ কেউ বা কাজ হারাচ্ছেন৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংকটে আছেন তথাকথিত ফ্রি ভিসায় যারা গেছেন, মানে কাগজে-কলমে মালিক থাকলেও বাস্তবে নেই৷ তাদের অনেকেই কষ্টে আছেন। অনেকের আয়-রোজগার বন্ধ।

অবশ্য কোভিড-১৯ শুধু প্রবাসীদের জীবিকাতেই নয়, আঘাত করেছে জীবনেও৷ গণমাধ্যমের প্রতিবেদন ও বিভিন্ন দূতাবাসের তথ্য অনুযায়ী, করোনার কারণে বিদেশে প্রায় দুই হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন৷ এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের ছয় দেশেই প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে৷ এ ছাড়া, কয়েক লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ নানা কারণে বিদেশে মারা যাওয়া প্রায় তিন হাজার প্রবাসীর মরদেহ এ বছরই দেশে এসেছে। পুরনো তথ্য যোগ করলে, গত এক যুগে ৪০ হাজারেও বেশি প্রবাসীর মরদেহ এসেছে। এদের অনেকেই ২৮ কিংবা ৩০ বছরেও মারা গেছেন। এদের মধ্যে অনেক নারী কর্মীও আছেন।

অবশ্য করোনায় আশার কথাও আছে। সারাবিশ্বেই কৃষিসহ নানা খাতে কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। সরকার এখন নতুন করে আগামী দিনগুলোতে কোন খাতের লোক যাবে, তাদের দক্ষতা কী হবে— এসব প্রস্তুতি এগিয়ে রাখতে পারে। বিশেষ করে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান জরুরি। পাশাপাশি করোনার কারণে যেসব পেশার চাহিদা বেড়েছে, সেসব পেশায় দক্ষ জনবল তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) ও সরকারকে।

এর পাশাপাশি মানবপাচার বা অনিয়মিত অভিবাসন বন্ধের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। কারণ, করোনায় স্বাভাবিকভাবে বিদেশে যাওয়া কমে যাওয়ায় অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে যেতে চাইবেন। এই তো এই বছরের ২৮ মে লিবিয়ার মিজদায় মানবপাচারকারীদের গুলিতে প্রাণ হারালেন ২৬ বাংলাদেশি, যারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন৷ মাসখানেক পরেই জুলাইতে জানা গেল, মেসিডোনিয়ায় গ্রিস সীমান্তের কাছে পুলিশ একটি ট্রাক থেকে ২১১ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে, যাদের মধ্যে ১৪৪ জনই বাংলাদেশি৷

এরপর সেপ্টেম্বরে আরেক খবর৷ মধ্য ইউরোপের দেশ স্লোভেনিয়াতে অনুপ্রবেশের দায়ে ৫২ বাংলাদেশি আটক৷ অক্টোবরের খবর, বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক শ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা৷ করোনার কারণে যেহেতু লোকজন স্বাভাবিকভাবে বিদেশে যেতে পারছে না, কাজেই সামনের দিনগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসন ও মানবপাচার বাড়তে পারে। এ বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেমন আরও তৎপর হতে হবে, তেমনি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে।

এতকিছুর পরেও কোটি লোকের বিদেশে কর্মসংস্থান কিংবা প্রবাসী আয়ের রেকর্ডের খবরটা নিশ্চয়ই ইতিবাচক। সরকারি-বেসরকারি তথ্য অনুযায়ী, এখন প্রতিবছর যে প্রবাসী আয় আসছে, সেটি মোট জাতীয় আয়ের প্রায় দশ শতাংশ। বিশ্বব্যাংক বলছে, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। তবে, শুধু কর্মী পাঠানোর সংখ্যা না বাড়িয়ে দক্ষতার দিকেই সবার এখন নজর দিতে হবে। কারণ, যারা বিদেশে যাচ্ছেন তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি এখনো অদক্ষই। এবারের ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের স্লোগানটা তাই ‘মুজিব বর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশে যান’।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসকে সামনে রেখে আবারও স্যালুট কোটি প্রবাসীকে। কারণ, এক কোটিরও বেশি প্রবাসী শুধু দেশের অর্থনীতি সচল রাখছেন তা নয়, অনেক দূর থেকেও বুকের মধ্যে যত্ন করে রেখেছেন লাল-সবুজের জন্য ভালোবাসা। বিজয়রে মাসে লাল-সবুজের পাসপোর্টধারী এই প্রবাসীদের স্যালুট। কারণ, পৃথিবীর প্রতিটা দেশে তারাই তো বাংলাদেশের প্রতিনিধি!

শরিফুল হাসান, ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

[email protected]

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English
Temperature rise in Dhaka last 30 years

An April way hotter than 30-year average

Over the last seven days, temperatures in the capital and other heatwave-affected places have been consistently four to five degrees Celsius higher than the corresponding seven days in the last 30 years, according to Met department data.

11h ago