স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর বড়লেখা বধ্যভূমিতে নামফলক

Borolekha massgrave
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে ছয় শহীদের বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে নামফলক স্থাপন করা হয়েছে। ছবি: স্টার

স্বাধীনতার ৪৯ বছর পর মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নে ছয় শহীদের বধ্যভূমি সংরক্ষণ করে তাদের নামফলক স্থাপন করা হয়েছে।

এছাড়াও, একই ইউনিয়নে শহীদ ডা. আব্দুন নূর বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে।

গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের দিনে নামফলক ও স্মৃতিস্তম্ভ উন্মোচন করা হয়।

উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আহমদ জুবায়ের লিটন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের এলজিএসপি-৩ প্রকল্প থেকে ছয় শহীদের গণকবর সংরক্ষণ করে নামফলক স্থাপন করা হয়েছে।’

‘পরবর্তী প্রজন্ম যাতে ইতিহাস জানতে পারে, বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারে, সে জন্য গণকবর চিহ্নিত করে ফলক লাগানোর ব্যবস্থা করি।’

শহীদ ডা. আব্দুন নূর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লেখক ও গবেষক মোস্তফা সেলিম ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা ডা. আব্দুন নূর চিকিৎসার পাশাপাশি সমাজসেবা করতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করতেন।’

তিনি জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে লেখা তার একটি চিঠি ফাঁস হওয়ায় ১৯৭১ সালের ২০ জুলাই তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। এরপর শাহবাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পশ্চিম পাশে তাকে হত্যা করে পাকিস্তানি হানাদাররা।

অন্যদিকে, মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সরবরাহ করেন এমন সন্দেহে ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে ভোররাতে শাহবাজপুরের বিভিন্ন বাড়ি থেকে সাত জনকে ধরে আনে হানাদাররা। একজন কৌশলে হানাদারদের থেকে পালিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

এরপর ছয় জনকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করে হানাদাররা। হত্যার পর তাদের উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের সায়পুর এলাকায় এক সঙ্গে মাটিচাপা দেওয়া হয়।

বীর শহীদরা হলেন উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের পাবিজুরীপার গ্রামের মো. ইশাদ আলী, মো. তফজ্জুল আলী হারী, মো. তোতা মিয়া, মো. জমির আলী, মো. লালচাঁন মিয়া, একই ইউনিয়নের আলাপুর গ্রামের মো. মাহমদ আলী মাখন।

দেশ স্বাধীনের পর সংরক্ষণ না করায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত স্থানগুলো অযত্ন, অবহেলায় ছিল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শাহবাজপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের পশ্চিম পাশে শহীদ ডা. আব্দুন নূর বধ্যভূমিতে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই গবেষক।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম আল ইমরান ডেইলি স্টারকে বলেছেন, ‘ভালো উদ্যোগ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত বড়লেখার অন্য স্থানগুলো সংরক্ষণ করা হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser holds high-level meeting to review law and order

The chiefs of three services and several advisers were in attendance, among others

40m ago