টি-টোয়েন্টি কাপের সেরা খেলোয়াড় মোস্তাফিজ
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের সময়ের সেরা বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করে নিরবচ্ছিন্নভাবে দারুণ পারফরম্যান্স দেখালেন তিনি। সেই সুবাদে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের স্বীকৃতিও পেলেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের এই বাঁহাতি পেসার। তবে তার অসাধারণ নৈপুণ্যের পরও শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি দলটি।
ফাইনালের আগেই মোস্তাফিজের নামের পাশে ছিল ২১ উইকেট। শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে ফের নজরকাড়া বোলিং উপহার দেন তিনি। ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। কিন্তু জেমকন খুলনার ৭ উইকেটে ১৫৫ রানের জবাবে তার দল চট্টগ্রাম থামে ৬ উইকেটে ১৫০ রানে। শেষ ওভারের রোমাঞ্চে ৫ রানের হারে দলটি মাঠ ছাড়ে একরাশ আক্ষেপ আর হতাশা নিয়ে।
সবমিলিয়ে ১০ ম্যাচে ১১.০৪ গড়ে ২২ উইকেট নেন মোস্তাফিজ। প্রতিপক্ষকে ধসিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আসর জুড়ে ডেলিভারির উপর তার নিয়ন্ত্রণও ছিল চোখ ধাঁধানো। ওভারপ্রতি মাত্র ৬.২৫ গড়ে রান দেন তিনি। প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ৩ লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তাছাড়া, টি-টোয়েন্টি কাপের সেরা বোলারের পুরস্কারও নিজের ঝুলিতে পুরেছেন তিনি। ফলে দ্য ফিজ পেয়েছেন আরও ২ লাখ টাকা।
যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের শরিফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে টি-টোয়েন্টি কাপের সবচেয়ে বিধ্বংসী পেস আক্রমণ উপহার দেন মোস্তাফিজ। দুই বাঁহাতি পেসার মিলে প্রায় সব ম্যাচেই প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরান। ১৬ উইকেট পাওয়া শরিফুল নতুন বল হাতে নিলেও মোস্তাফিজকে দেখা গেছে তৃতীয়, চতুর্থ বা পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে যেতে।
মাঝের ওভারগুলোতে প্রতিপক্ষের রান লাগামছাড়া হতে না দেওয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক-থ্রু এনে দেওয়ায় মুন্সিয়ানা দেখান মোস্তাফিজ। ডেথ ওভারে তিনি বরাবরই কার্যকর। এই আসরেও সে প্রমাণ পাওয়া গেছে আরও একবার। ফাইনালের প্রতিপক্ষ খুলনার বিপক্ষেই প্রাথমিক পর্বে সেরা বোলিং ফিগারটি পেয়েছিলেন তিনি। দলটির সঙ্গে প্রথম দেখায় ৫ রানে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
Comments