মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় সমর্থন দিতে শতাধিক ব্রিটিশ সংসদ সদস্যের আহ্বান

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলার সমর্থনে যুক্তরাজ্য সরকারকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের শতাধিক সংসদ সদস্য।
হত্যা-নির্যাতন থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে রোহিঙ্গারা। ফাইল ফটো এএফপি

রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়ার করা মামলার সমর্থনে যুক্তরাজ্য সরকারকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের শতাধিক সংসদ সদস্য।

গতকাল যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী ডমিনিক রাবের জারি করা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কেবল ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে ও আন্তর্জাতিক আইনকে সমর্থন করতেই নয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দ্বারা আরও আন্তর্জাতিক অপরাধ রোধেও দায়মুক্তির অবসান জরুরি।’

রোহিঙ্গাদের অধিকার সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের কো-চেয়ার রুশনারা আলী ও জেরেমি হান্ট যুক্তরাজ্যের ১০৪ জন সংসদ সদস্যের পক্ষে এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।

চিঠিতে তারা বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, যুক্তরাজ্য যদি এই মামলায় হস্তক্ষেপ করে, তবে আইনগত ও প্রতীকীভাবে এতে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা হবে।’

যুক্তরাজ্যের সংসদ সদস্যদের চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘মানবাধিকারের বিষয়ে যুক্তরাজ্য ঐতিহাসিকভাবে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিয়েছে। যুক্তরাজ্য এখন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের “পেন হোল্ডার” এবং যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা।’

‘একইসঙ্গে আমাদের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা এবং নিরাপত্তা পরিষদের পেন হোল্ডার হিসেবে আমাদের মর্যাদা থাকা সত্ত্বেও, এ মামলায় আমাদের যোগ দিতে না পারা দায়মুক্তি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে সামরিক বাহিনীকে ভুল বার্তা দিতে পারে’, এতে যোগ করা হয়।

সংসদ সদস্যরা বলেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন অব্যাহত আছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনে রোহিঙ্গাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সুতরাং এটি স্পষ্ট যে, এখনই অনেক কিছু করা প্রয়োজন।’

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নৃশংস সামরিক অভিযানের পর সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদের প্রতি সে দেশের সেনাবাহিনীর আচরণ গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে উল্লেখ করে গাম্বিয়া এ মামলা করেছে।

মামলায় আদালত একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে আছে, মিয়ানমারে থাকা রোহিঙ্গাদের রক্ষার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া এবং আদালতে নিয়মিত প্রতিবেদন দাখিল করা। কানাডা ও নেদারল্যান্ডস ইতোমধ্যে এ মামলায় হস্তক্ষেপ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago