বাঘা যতিনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: ইউনিয়ন যুবলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাঘা যতিনের ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও কয়া কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য আনিসুর রহমানসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম তানভীর আরাফাত দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাঘা যতিনের ভাস্কর্য ভাঙচুরে জড়িত সন্দেহে আনিসুর রহমান এবং ওই গ্রামের দুই বাসিন্দা সবুজ হোসেন ও হৃদয় আহমেদকে আজ ভোররাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় গতকাল আনিসুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ। একইসঙ্গে কয়া কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুন্নু, অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ ও নৈশপ্রহরী খলিলুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এরপর কলেজের অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল সকালে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের নেতা বিপ্লবী বাঘা যতিনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসে। দুর্বৃত্তদের হামলায় ভাস্কর্যের মুখমণ্ডলের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা বাঘা যতিনের জন্ম ১৮৭৯ সালে ঝিনাইদহ জেলায় হলেও তিনি বেড়ে ওঠেন কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালীর কয়া গ্রামে তার নানা বাড়িতে। ১৯১৫ সালে তিনি ব্রিটিশ পুলিশের সঙ্গে যুদ্ধে গুরুতর আহত হন বাঘা যতিন। এরপর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কয়া কলেজে স্থাপিত ভাস্কর্যটি ২০১৬ সালে ত্রিপুরা রাজ্যের গভর্নর শ্রী তথাগত রায় উদ্ধোধন করেছিলেন।
আরও পড়ুন
বাঘা যতিনের ভাস্কর্য ভাঙচুর: ৪ জন ছাড়া পেলেন, অধ্যক্ষের মামলা
Comments