ইতালিতে বড়দিন ও নববর্ষের ছুটিতে থাকবে লকডাউন

করোনভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বড়দিন ও নববর্ষের ছুটিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে ইতালি। নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় শুক্রবার লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
ITALY.jpg
ইতালির মিলানের দমো স্কয়ার। ছবি: রয়টার্স

করোনভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বড়দিন ও নববর্ষের ছুটিতে লকডাউন ঘোষণা করেছে ইতালি। নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় শুক্রবার লকডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিবিসি জানায়, সরকারি ছুটির দিনগুলোতে গোটা ইতালি ‘রেড-জোন’ এর আওতায় থাকবে। জরুরি নয় এমন সব দোকানপাট, সব ধরনের রেস্তোরাঁ ও বার বন্ধ থাকবে। কেবল অফিসে যাতায়াত, স্বাস্থ্য ও জরুরি প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে বলেন, ‘আবারও দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না।’

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বড়দিনের ছুটিতে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে অনেকটা বেড়ে যেতে পারে, যা নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা ভীষণভাবে উদ্বিগ্ন...তাই আমাদের ব্যবস্থা নিতেই হয়েছে।’

আগামী ২৪ থেকে ২৭ ডিসেম্বর, ৩১ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি এবং ৫ থেকে ৬ জানুয়ারি পুরো ইতালি ‘রেড-জোনের’ আওতায় থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতে বলেন, ‘ওই সময়ে লোকজন কেবল কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত, জরুরি প্রয়োজন এবং স্বাস্থ্যগত কারণে বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন।’

প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি থাকবে।

তবে, লকডাউন চলাকালে ছুটির দিনগুলোতে বাড়িতে সর্বোচ্চ দুজন অতিথি আসতে পারবেন। তবে অতিথিদের বয়স অবশ্যই ১৪ বছরের বেশি হতে হবে।

জানা গেছে, ২৮ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ও ৪ জানুয়ারি বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল থাকবে। এই দিনগুলোতে লোকজন বাড়ির বাইরে যেতে পারবেন কিন্তু সব রেস্তোরাঁ ও বার বন্ধ থাকবে।

জিউসেপ কোঁতে জানান, বাসিন্দারা লকডাউনের বিধিনিষেধ ঠিকমত পালন করছে কি না, তা দেখতে বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠানো হবে না। তবে তিনি ইতালির জনগণকে লকডাউনের সময় দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইতালিতে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ মাসের শেষ দিকে দেশটিতে কোভিড ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হতে পারে।

জিউসেপ কোঁতে বলেন, ‘ভ্যাকসিন কর্মসূচির মাধ্যমে ভয়াবহ এই দুঃস্বপ্নের শেষের শুরু হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago