নদী খনন না করায় জলাবদ্ধতা

ধান চাষ নিয়ে সংকটে যশোরের হরিদাসকাটির কৃষক

Somboldanga_20Dec20.jpg
ধান চাষ নিয়ে সংকটে পড়েছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের চার গ্রামের কৃষকরা। ছবি: সংগৃহীত

ধান চাষ নিয়ে সংকটে পড়েছেন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়নের চার গ্রামের কৃষকরা। তারা অভিযোগ করেছেন, নদী খননের উদ্যোগ না নেওয়ায় সম্বলডাঙ্গা বিলের জলাবদ্ধতা দূর হচ্ছে না। যে কারণে হরিদাসকাটি ইউনিয়নের কৃষকদের চাষাবাদ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

সম্বলডাঙ্গা বিলের দেড় হাজার বিঘা জমিতে ইউনিয়নের ভোমরদাহ, সুবলকাঠি, শ্রীপুর ও হাজরাইল গ্রামের কৃষকরা ধান চাষ করেন। নিয়মিত খনন না করায় যশোরের ভবদহ অঞ্চলের ৫৪টি বিলের চেয়ে নদী উঁচু হয়ে গেছে।

সরকারি উদ্যোগ না থাকায় কৃষকরা নিজেদের খরচে শ্যালো ইঞ্জিন ভাড়া করে বিলের পানি সেচে মুক্তেশ্বরী নদীতে ফেলছেন। ভোমরদাহ গ্রামের কৃষক ইদ্রিস গাজী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘কেশবপুর থেকে ১২টি ডিজেল ইঞ্জিন ভাড়া করা হয়েছে। গত ১৭ দিন ধরে ৫০ জন শ্রমিক সেচের কাজ করছেন। প্রতি বিঘায় কৃষকের খরচ হচ্ছে এক হাজার টাকা।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত চার বছর ধরে এভাবেই চাষাবাদ করতে হচ্ছে। আগে সম্বলডাঙ্গা বিলের পানি ঢাকুরিয়া খাল হয়ে মুক্তেশ্বরী নদীতে চলে যেত। পলি পড়ায় ভবদহ অঞ্চলের অধিকাংশ নদী ভরাট হয়ে গেছে। যে কারণে বিলের পানি সরছে না। এবার শীত মৌসুমেও বিলে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি জমে আছে।’

ভোমরদাহ গ্রামের কৃষক অনিমেশ বাবু বলেন, ‘আমন চাষ করতে পারিনি। বোরো ধান চাষ করতে পারবো কি না তাও জানি না। কেশবপুর থেকে যে শ্যালো ইঞ্জিনগুলো আনা হয়েছে, সেগুলোর প্রতিটির দৈনিক ভাড়া ছয় শ টাকা। বিল সেচতে দেড় মাস সময় লাগবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মণিরামপুর উপজেলা বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উপসহকারী প্রকৌশলী আকতার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘বিল কপালিয়ার জলাবদ্ধতা দূর করতে সরকারি খরচে কাজ চলছে। সম্বলডাঙ্গা বিলের জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমার জানা নেই।’

Comments

The Daily Star  | English

'Appalling' to see civilians treated as 'collateral damage' by Iran, Israel: UN

Iran and Israel traded further air attacks on Thursday as Trump kept the world guessing about whether the US would join Israel's bombardment of Iranian nuclear facilities.

19h ago