নারায়ণগঞ্জে আইভীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে হকার বসাকে কেন্দ্র প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খানের মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছবি: স্টার

নারায়ণগঞ্জ শহরের ফুটপাতে হকার বসাকে কেন্দ্র প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তার সমর্থকদের ওপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম খানের মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

মঙ্গলবার বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেল গেট এলাকায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে মহানগর যুবলীগের ব্যানারে ওই বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে মিছিলটি শহরের চাষাঢ়া গোল চত্বর ঘুরে পুনরায় আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

এর আগে মহানগর যুবলীগের ব্যানারে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী রেজা উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলি তখনই এক শ্রেণির গডফাদার নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার জন্য আমাদের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে কোণঠাসা করতে চায়। নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন জানে কারা সন্ত্রাসী করে। কোন সন্ত্রাসী মেয়রকে গুলি করার জন্য অস্ত্র নিয়ে গেছে।’

প্রশাসনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘শান্ত নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার পায়তারা করবেন না। আবার যদি নারায়ণগঞ্জকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া থাকে তাহলে মহানগর যুবলীগসহ নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে রাজপথ অবরোধ করে দেবো। যদি আমাদের কোনো নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয় তাহলে আমরা রাজপথ অবরোধ করে দেবো।’

শহর যুবলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি কামরুল হুদা বাবুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম, কার্যকারী সদস্য রুবেল ইসলাম, মহানগর যুবলীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ, ১৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের আহবায়ক বিপ্লব বসু প্রমুখ।

প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি শহরে ফুটপাতে হকার বসাকে কেন্দ্র করে মেয়র আইভী ও তার সমর্থকদের উপর হকার ও এমপি শামীম ওসমানের অনুগামীরা হামলা করে। ওইসময় শামীম ওসমানের অনুগামী যুবলীগ নেতা নিয়াজুল ইসলাম প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে হামলায় অংশ নেন। ওই ঘটনায় মেয়র আইভীসহ তার অর্ধশতাধিক সমর্থক আহত হন।

এ ঘটনায় সদর থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলেও কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

দুই দিন পর নিয়াজুলের অস্ত্র উদ্ধার হলেও পুলিশের কাছে নিয়াজুল এখনও পলাতক। এ ঘটনায় মেয়র আইভীর পক্ষে আইন কর্মকর্তা মামলা করতে গেলেও তখন মামলা নেয়নি পুলিশ।

এ ঘটনার প্রায় তিন বছর পর গত ২০ ডিসেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে নিয়াজুল ইসলাম খানের অস্ত্র ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে মেয়র আইভীর ১৭ জন সমর্থককে আসামি করে মামলার আবেদন করেন তার ভাই রহমান ইসলাম খান ওরফে রিপন খান। পরদিন একই আদালত নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দিয়েছেন। আগামী ২২ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Banks mostly gave loans to their owners rather than creditworthy borrowers

Bangladesh’s banking sector was not well-managed in recent years. Banks mostly gave loans to their owners, rather than to creditworthy entities. Consequently, several banks are now in difficulty.

10h ago