ইরাকে মার্কিন দূতাবাসের কাছে হামলা, ইরানকে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের কাছে রকেট হামলার ঘটনায় ইরানকে দায়ী করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হামলায় কোনো মার্কিন নাগরিক নিহত হলে ইরানকে পাল্টা আঘাত করা হবে। আলজাজিরা জানায়, গত রোববার ইরাকে মার্কিন দূতাবাসের কাছে রকেট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ইরাকের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, একটি ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত দল’ বাগদাদের দূতাবাস এলাকার অতি সুরক্ষিত গ্রিন জোনে আটটি রকেট ছুড়েছে। এতে এক ইরাকি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। হামলায় একটি গাড়ি ও একটি আবাসিক ভবনের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সে বিষয়ে গতকাল টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘রোববার বাগদাদে আমাদের দূতাবাসে বেশ কয়েকটি রকেট বিস্ফোরণ হয়েছে। অনুমান করুন তারা কারা: ইরান।’
হামলায় ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘এখন আমরা ইরাকে আমেরিকানদের লক্ষ্য করে আরও কিছু আক্রমণের গুঞ্জন শুনছি। ইরানের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শ: যদি একজন আমেরিকান নিহত হন, তবে আমি এর জন্য ইরানকে দায়ী করবো। এটি নিয়ে ভাবুন।’
২০২০ সালের জানুয়ারিতে ট্রাম্প প্রশাসনের নির্দেশে বাগদাদে বিমান হামলা চালিয়ে ইরানের জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যা করা হয়। ইরানের আধ্যাত্মিক নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর তিনিই ছিলেন সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি।
আগামী ৩ জানুয়ারি কাসেম সোলাইমানি হত্যার এক বছর হতে যাচ্ছে। একে কেন্দ্রে করে ইরাকে থাকা ইরান সমর্থিত বাহিনীগুলো কোনো ধরনের হামলা চালাবে কি না এ নিয়ে হোয়াইট হাউসে উদ্বেগ বাড়ছে।
রোববারের রকেট হামলার ঘটনায় বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন মার্কিন ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রিস মিলার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ও জাতীয় সুরক্ষা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, প্রস্তুতি হিসেবে ‘বিভিন্ন ধরনের বিকল্প’ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হোয়াইট হাউসে বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল ইরাকে থাকা ইরানি ও শিয়া মিলিশিয়ারা যেন আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালাতে না পারে সেটি নিশ্চিত করতে সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া।’
এক বিবৃতিতে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ড জানায়, ২০ ডিসেম্বর বাগদাদের গ্রিন জোনে রকেট হামলায় ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ায় হাত থাকতে পারে।
সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র নেভি ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ‘ইরান সমর্থিত কোনো মিলিশিয়া গ্রুপের হাতে কোনো আমেরিকান নিহত হলে যুক্তরাষ্ট্র ইরানকেই দায়ী করবে।’
এদিকে, ইরাকের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদাহ ২১ ডিসেম্বর ওই হামলার প্রসঙ্গে জানান, সম্প্রতি রকেট হামলা স্পষ্টতই উত্তেজনা তৈরির লক্ষ্যে হয়েছে।
Comments