রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবক অপহৃত, ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ হোসেন (৪৫) কে অপহরণের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।
কক্সবাজারের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। ফাইল ফটো

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক মোহাম্মদ হোসেন (৪৫) কে অপহরণের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন।

গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে অপহৃত হন মোহাম্মদ হোসেন। তিনি কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) কার্যালয়ের অধীনে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা শিবিরের এ/১ ব্লকে কর্মরত ছিলেন।

গতকাল রাত ১টার দিকে আশ্রয় শিবিরের ১৮ নম্বরের ডি ব্লক থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

অপহরণের শিকার মোহাম্মদ হোসেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের কলেজ পাড়ার মো. কাশেমের ছেলে।

সিপিপি কক্সবাজার এলাকার উপপরিচালক হাফিজ আহমদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মোহাম্মদ হোসেনকে কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে একদল সন্ত্রাসী অপহরণ করে নিয়ে যায়। তাকে অমানবিকভাবে শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে। তার হাতের নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। সমস্ত শরীরে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। তাকে গতকাল রাতে উদ্ধারের পর উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আজ তার শারীরিক অবস্হার উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

কক্সবাজারস্থ ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক (এসপি) মো. হেমায়েতুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ আছে  উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের শফিউল্লাহ কাটা রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক  হোসেন আলীকে অপহরণ করে। তার অফিস ও স্বজনদের পক্ষ থেকে ঘটনাটি এপিবিএনকে জানানো হয়।

এরপর তাকে উদ্ধারে নানামুখী তৎপরতা শুরু করে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় প্রায় ১০ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়।  ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English
Work underway to fix metro rail bearing pad

Displaced bearing pad disrupted metro rail service: DMTCL official

Both local and Japanese workers and engineers were seen working to lift the pad back onto the pier

1h ago