হত্যাচেষ্টার অভিযোগ থেকে সৌদি যুবরাজকে দায়মুক্তি দিতে পারেন ট্রাম্প

সৌদি আরবের সাবেক এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে তাকে দায়মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমান। ফাইল ফটো রয়টার্স

সৌদি আরবের সাবেক এক কর্মকর্তাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগ থেকে তাকে দায়মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন।

এক সূত্রের বরাতে নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, স্টেট ডিপার্টমেন্টের আইনি দপ্তর বিষয়টি বিবেচনা করছে ও প্রয়োজনীয় অনুসন্ধানগুলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে পাঠানো হবে। তিনি বিচার বিভাগের কাছে যুবরাজের বিষয়ে সুপারিশ করবেন বলে জানা গেছে।

পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সৌদি আরব চায় ২০ জানুয়ারি বাইডেনের শপথ নেওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিক। জো বাইডেন ইতোমধ্যেই সৌদি আরবের প্রতি কঠোর অবস্থানের কথা দিয়েছেন।

যুবরাজ মোহাম্মদ, যিনি এমবিএস নামেও পরিচিত তার বিরুদ্ধে আগস্টে ওয়াশিংটনের ফেডারেল আদালতে মামলা করা হয়েছিল।

সৌদি আরবের সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে কানাডায় একটি হিট স্কোয়াড বা হত্যাকারী দল পাঠানোর অভিযোগ উঠে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে।

সৌদি আরব সরকারের সাবেক কর্মকর্তা সাদ আল-জাবরি নির্বাসিত হওয়ার পর গত তিন বছর ধরে কানাডায় বসবাস করছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে করা নথিতে উল্লেখ করা হয়, তুরস্কে সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পরপরই সাদ আল-জাবরিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

আদালতের নথির হিসেবে, টরেন্টো পিয়ারসন বিমানবন্দর দিয়ে হত্যাকারীরা কানাডা প্রবেশ করার সময় কানাডিয়ান সীমান্ত রক্ষীদের সন্দেহ হয় এবং তাদের বাধা দেয়। এতে হত্যার পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

ব্লুমবার্গ জানায়, আল জাবরিকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ থেকে রেহাই পেলে সৌদি রাজপরিবারের কড়া সমালোচক ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার ঘটনা থেকেও রেহাই পেয়ে যাবেন মোহাম্মদ বিন সালমান।

এ প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনে সৌদি দূতাবাস ও মার্কিন সরকারের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল কমিউনিকেশনের কাছে মন্তব্য চেয়ে ইমেল করা হলে তারা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

সৌদি সরকারের পক্ষের আইনজীবীরাও কোনো মন্তব্য করেননি।

এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে জানায়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সৌদি যুবরাজকে ক্ষমার অনুরোধের বিষয়টি বিবেচনা করছে।

তবে, আগামী মাসে বাইডেন শপথ নেওয়ার আগে মাইক পম্পেও সৌদি যুবরাজ এমবিএসের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য সুপারিশ করবেন কিনা তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সাদ আল-জাবরি ছেলে খালিদ আলজাবরী বলেন, ‘এই মামলাটি কারও রাজনৈতিক অনুকূলে থাকা উচিত না। এমবিএসকে ছাড় দেওয়া হলে তার চূড়ান্ত দায়মুক্তি হবে এবং এটিকে তিনি হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা ‘লাইসেন্স’ হিসেবে ব্যবহার করবেন।’

Comments

The Daily Star  | English

Ban on plastic bags a boon for eco-friendly sacks

Availability of raw materials now a challenge

2h ago