দুর্নীতির অভিযোগে উঠলে যে কাউকে নোটিশ দিতে পারে দুদক: হাইকোর্ট

দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

দেশের যে কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ বা কমিশনের কার্যালয়ে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ জারি করতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রিট আবেদনের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জান্নাতুল ফেরদৌসী রুপা দুদকের একটি নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেন। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে কমিশনের কার্যালয়ে হাজির হতে অনুরোধ জানিয়ে ওই নোটিশ জারি করেছিল দুদক।

গত ৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দুদকের নোটিশ বহাল রাখেন।

আদালত তার জবানবন্দি জানাতে ২৭ জানুয়ারি বা তার আগে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে রুপাকে নির্দেশও দিয়েছিলেন।

হাইকোর্ট বেঞ্চের বিচাররকা স্বাক্ষর করার পর আজ ওই আদেশের পুরো পাঠ্য প্রকাশ করা হয়।

হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা করে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে তাদের বক্তব্য জানতে রাষ্ট্রপতি ছাড়া বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিককে নোটিশ দেওয়ার আইনগত এখতিয়ার দুদকের আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুপাকে নোটিশ জারি করে কোনো মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেনি দুদক। দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই দুদক এ জাতীয় নোটিশ জারি করে।’

খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘দুদকের নোটিশ মানেই কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া নয়।’

গত ১ নভেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রুপা দুদকের নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের কাছে রিট আবেদন করেন। গত গত ২৮ অক্টোবর এক নোটিশে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ নভেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়।

দুদকের চিঠিতে বলা হয়, জান্নাতুল ফেরদৌসী রূপার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ঘুষ নিয়ে জিকে শামীমসহ বিভিন্ন আসামির সঙ্গে আঁতাত করে জামিন করিয়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

37m ago