ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাজ্য-ইইউ

অবশেষে কয়েক মাসের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছানোর পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া

অবশেষে কয়েক মাসের বিরোধের অবসান ঘটিয়ে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিতে একমত হয়েছে যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ডাউনিং স্ট্রিটে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘আমাদের আইন ও আমাদের লক্ষ্যের প্রতি নিয়ন্ত্রণ ফিরে এসেছে।’

বিবিসি জানিয়েছে, ২৭ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বের হয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন) এক বছর পর অর্থাৎ আগামী বৃহস্পতিবার ইইউ’র বাণিজ্যনীতি থেকে বের হয়ে যাবে যুক্তরাজ্য।

এর ফলে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আসবে উল্লেখ করে সংবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও ইইউ আলাদা বাজার গড়ে তুলবে, অবাধ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

গতকাল ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘চুক্তিতে পৌঁছানোর পথ খুবই দীর্ঘ ও কঠিন ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আমরা একটা ভালো চুক্তিতে পৌঁছাতে পেরেছি। এ চুক্তি সুষ্ঠু ও ভারসাম্যপূর্ণ।’

চুক্তিতে পৌঁছানোর উচ্ছ্বাসে নিজের দুই হাতের বুড়ো আঙুল তুলে ধরার একটি ছবি টুইটারে প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, চুক্তির মাধ্যমে দেশজুড়ে চাকরি সুরক্ষিত হবে এবং ব্রিটিশ পণ্য শুল্ক ও কোটা ছাড়াই ইউরোপের বাজারে বিক্রি হতে পারবে।

চুক্তির প্রশংসায় জনসন আরও জানিয়েছেন, চুক্তির আওতায় বিভিন্ন কোম্পানি ও রপ্তানীকারকরা ইউরোপের বন্ধু দেশগুলোর সঙ্গে আরও বেশি ব্যবসা করার সুযোগ পাবে।

বাণিজ্য আলোচকদলের রাতভর আলোচনার পর চুক্তির বিস্তারিত বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়েছে। তবে তা এখনও জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি।

বিবিসি আরও জানিয়েছে, লন্ডন ও ব্রাসেলসে চুক্তিটি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদনের জন্য দুই পক্ষের হাতে এক সপ্তাহ সময় আছে।

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut in Ashulia yesterday amid worker unrest along the industrial belts, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

5h ago