ভারতে কৃষকদের কম্বল পাঠাতে চান ডা. জাফরুল্লাহ, ভারতীয় হাইকমিশনারকে চিঠি

Dr_Zafrullah
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে শৈত্যপ্রবাহে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৭ জন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন উল্লেখ করে তাদের সহায়তায় কম্বল পাঠাতে চান বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ লক্ষ্যে গতকাল তিনি ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীকে চিঠিও দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে আমরা ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার কম্বল দিয়েছি। প্রতিবেশী দেশ ভারতে শৈত্যপ্রবাহে ৩৭ জন মারা গেছেন। আমরা তাদেরকেও সহায়তা করতে চাই। সেখানকার আন্দোলনরত কৃষকদেরকে সহায়তা করতে চাই। যাতে শৈত্যপ্রবাহে তারা মারা না যান।’

কম্বল পাঠানোর অনুমতি চেয়ে ভারতীয় হাইকমিশনকে দেওয়া চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেই চিঠিতে বলেছি যে, একাত্তরে ভারত আমাদের সাহায্য করেছিল। সেজন্য আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার কৃতজ্ঞতাস্বরূপ নয়াদিল্লির শীতার্ত কৃষকদের জন্য দুই হাজার কম্বল দিতে চাই। বাংলাদেশের গ্রামীণ তাঁতিরা এই উন্নতমানের কম্বলগুলো তৈরি করেছেন। ভারত এই সহায়তা গ্রহণ করলে আমরা খুশি হবো।’

ভারতে আন্দোলনরত কৃষকদের সমর্থনে এই সহায়তা করতে চাইছেন বলে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ভারতীয় হাইকমিশনকে দেওয়া চিঠিতে যদিও আমি আন্দোলনরত কৃষকদের কথা সরাসরি বলিনি। সেখানে বলেছি, নয়াদিল্লির কৃষকদের জন্য এই সহায়তা দিতে চাই। কিন্তু, মূলত কৃষকরা যে আন্দোলন করছেন, তাদের সমর্থনে এই সহায়তা পাঠাতে চাইছি। যেকোনো জায়গায় ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন হলে আমি সেটাকে সমর্থন করি।’

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ ডিসেম্বর দেশের শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে মূলত ভারতের কৃষকদের জন্য কম্বল পাঠানোর ইচ্ছার কথা জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছিলেন, ‘ভারতে শৈত্যপ্রবাহে ৩৭ জন কৃষক মারা গেছেন। ভারত সরকার আমাদের অনুমোদন দিলে সেখানকার কৃষকদের জন্য আমরা দুই হাজার কম্বল পাঠাতাম। তবে, আমাদের দেশ ও মানুষ প্রথম বিবেচ্য বিষয়।’

অনুষ্ঠানে দেশের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘দেশে শীতের প্রবাহ বাড়ছে। তাপমাত্রা কোনো কোনো স্থানে সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে। ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের আহ্বান, তারা যেন অসহায় শীতার্ত জনগণকে সহযোগিতা করেন। আমাদের এ কম্বলগুলো বড় করে তৈরি করা হয়েছে। একটা কম্বলে পরিবারের কয়েকজন থাকতে পারবেন। এসব কম্বল আবার তৈরিও করেছেন গরিব মানুষেরাই। গণ বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং দুই-একজন ব্যবসায়ী এসব কম্বল দেওয়ার জন্য আমাদের সহযোগিতা করেছেন। গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাঁওতাল পল্লিসহ উত্তরবঙ্গে আমরা বিশেষভাবে নজর দিচ্ছি।’

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The Inspector General of Police (IGP) has issued a comprehensive new dress code titled Police Dress Rules, 2025, detailing rank-wise uniforms and accessories for all Bangladesh Police members.

4h ago