ভাঙ্গায় ডাকাত দলের ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
ফরিদপুরের ভাঙ্গার আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাত দলের নয় সদস্য এবং এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির মালামাল জব্দ করার তথ্য দিয়েছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার গ্রেপ্তার হওয়া এই ১০ জনের মধ্যে জুয়েলারির দোকানের মালিক পলাশ কর (২৮) কে ডাকাতির স্বর্ণ কেনার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ধানজাইল গ্রামের ইসলাম মোল্লা ও পদ্মবিল গ্রামের বেলায়েত শেখ, ভাঙ্গার ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের হাবিব মুন্সী ও মোশা বেপারী, ফেনীর দাগনভূইয়ার মেহেদীপুর গ্রামের বদিউল আলম, গোপালগঞ্জ সদরের মাতলা গ্রামের ফরিদ খাঁ, ফরিদপুরের সালথার ভলিভদ্রদী গ্রামের ওবায়দুর মাতুব্বর, ভাঙ্গার বাররা গ্রামের সুজন সর্দার এবং গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের চরবাহাড়া গ্রামের সহিদুল শেখ।
ভাঙ্গা থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে ভাঙ্গার ছোট হামিরদী গ্রামে দেলোয়ার ফকিরের বাড়িতে ডাকাতি হয়। এই ঘটনায় হামিরদী গ্রামের চুন্নু মাতুব্বর ও অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন দেলোয়ার ফকির। এর চার দিনের মাথায় বড় হামিরদী গ্রামের কাজী ফাহাদ ইসলাম শোভনের বাড়িতে ডাকাতি হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা আজ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, পুলিশ কিছুদিন আগে ডাকাতি মামলার আসামি চুন্নু মাতুব্বরকে গ্রেপ্তার করে। চুন্নু ফরিদপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাঙ্গা থানার পুলিশ গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ভাঙ্গা ও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একজন সোনার ব্যবসায়ী ও ডাকাত দলের নয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। তাদের কাছ থেকে চার ভরি আট আনা গলিত স্বর্ণ, একটি স্বর্ণের চেইন, সাতটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, একটি ট্যাব, নগদ ৫৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ডাকাত শহিদুল শেখের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল ও চারটি গুলি জব্দ করা হয়েছে। শনিবার সকালে তার নামে পুলিশ ভাঙ্গা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছে। অন্য ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান জানান, শনিবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Comments