ক্যাসিনো থেকে নেপালি নাগরিকদের পালাতে সাহায্য, ২ পুলিশ সদস্যের শাস্তি

রাজধানীতে গত বছর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় কয়েকজন নেপালি নাগরিককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এএসআই) পদাবনতি ও এক কনস্টেবলের ১০ বছরের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে।
নির্বাচনের আগে পদোন্নতি চায় পুলিশ

রাজধানীতে গত বছর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় কয়েকজন নেপালি নাগরিককে পালিয়ে যেতে সাহায্য করায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এএসআই) পদাবনতি ও এক কনস্টেবলের ১০ বছরের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে।

পদাবনতি হয়ে এএসআই গোলাম হোসেন মিঠুর পদবি এখন নায়েক। আর, ১০ বছরের জন্য বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিত করা হয়েছে কনস্টেবল দীপঙ্কর চাকমার।

আজ শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) ওয়ালিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই ঘটনার তদন্তে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিভাগীয় শাস্তি হিসেবে এই শাস্তিগুলোকে গুরুদণ্ড বলে বিবেচিত হয় বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান।

গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফকিরাপুলের একটি ক্লাবে র‌্যাবের ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের সময় ১৫ জন নেপালি নাগরিককে সেগুনবাগিচা থেকে পালাতে সহায়তা করেন এই দুই পুলিশ সদস্য। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কারণে এএসআই মিঠু ও দীপঙ্করকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই নেপালি নাগরিকরা ক্লাবটিতে কাজ করতেন।

সেগুনবাগিচায় একটি ভবনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, দুই পুলিশ সদস্য ও একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাদের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে আসার পরে নেপালিরা পালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যও শাস্তির মুখোমুখি হয়েছেন। তবে, তার শাস্তির বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

আধুনিক বৈদ্যুতিক জুয়ার বোর্ড চালাতে নেপাল থেকে দক্ষ পেশাদারদের ঢাকার ক্যাসিনোতে আনা হয়। এজন্য তারা মাসিকভিত্তিতে বেতন পেতেন।

গত বছর এই অভিযানের সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তারা ক্যাসিনোতে কাজ করা নেপালিদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু, সে সব তথ্য ফাঁস করে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Half of Noakhali still reeling from flood

Sixty-year-old Kofil Uddin watched helplessly as floodwater crept into his home at Bhabani Jibanpur village in Noakhali’s Begumganj upazila on August 10. More than a month has passed, but the house is still under knee-deep water.

4h ago