ট্রাম্প সই না করায় বন্ধ হচ্ছে কোটি আমেরিকানের বেকারভাতা

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল ফটো রয়টার্স

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রণোদনা বিলে সই না করায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় দেড় কোটি মার্কিন নাগরিকের বেকারভাতা বন্ধ হচ্ছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, দুই লাখ ৩০ হাজার কোটি ডলারের ওই বিলে সাধারণ নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট অর্থ সহায়তা দেওয়া হয়নি দাবি করে বিলটিতে সই করতে রাজি হননি ট্রাম্প।

এ সপ্তাহে ট্রাম্প জানান, বিল নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট নন। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় দলের সদস্যরাই এতে অবাক হয়েছেন। ওই বিলে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের অতি জরুরি ত্রাণ সরবরাহে ৯৮ হাজার ২ শ কোটি ডলারের প্রণোদনা ছিল। এর মধ্যে বিশেষ বেকারভাতাও অন্তর্ভুক্ত যার মেয়াদ ২৬ ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। এ ছাড়া, সরকারি বিভিন্ন ব্যয়ের খাতে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার বরাদ্দ ছিল।

শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্পের সই না পাওয়ায় এক কোটি ৪০ লাখ আমেরিকান তাদের বেকারভাতা থেকে বঞ্চিত হবেন। কংগ্রেস সাময়িক সরকারি তহবিলে সম্মত না হলে কয়েক লাখ সরকারি কর্মচারীর আয় ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। ফলে আগামী মঙ্গলবার থেকে মার্কিন সরকারে আংশিক অচলাবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছে।

দীর্ঘ বিতর্কের পর গত সপ্তাহের শেষে হোয়াইট হাউসের সম্মতিক্রমে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা এই প্রণোদনা প্যাকেজে সম্মত হন। সোমবার রাতে কংগ্রেস বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই বিলের ব্যাপারে কোনো আপত্তি তোলেননি ট্রাম্প।

ট্রাম্পের অভিযোগ, এই বিলে বিশেষ স্বার্থে, সাংস্কৃতিক প্রকল্প ও বিদেশি সাহায্যের জন্য বেশি অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কোটি কোটি মার্কিন নাগরিকের জন্য ৬০০ ডলার অর্থ সহায়তা খুবই কম বলে অভিযোগ করেন তিনি। এই অর্থ বাড়িয়ে দুই হাজার ডলার করার দাবি তোলেন ট্রাম্প।

শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কেবল আমাদের দুর্দান্ত জনগণকে বিলের ওই ৬০০ ডলারের পরিবর্তে দুই হাজার ডলার দিতে চাই।’

এদিকে বিলে সই না করায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বিদায়ী রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টকে অবিলম্বে এ নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

এই পরিস্থিতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের এই আপত্তিতে হোয়াইট হাউসের অনেক কর্মকর্তা অবাক হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

9h ago