নিউজিল্যান্ডে কয়েদীর মতো আচরণ পাওয়ার অভিযোগ হাফিজের
নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে শুরুতেই বিপত্তিতে পড়েছিল পাকিস্তান দল। সেখানে গিয়ে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের বিধি ভাঙ্গা ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় তিন দিনের জায়গায় দুই সপ্তাহ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হয় তাদের। এমন অবস্থায় তাদের সঙ্গে কয়েদীর মতো আচরণ করা হয়েছে বলে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষে দেশে ফিরে অভিযোগ করেছেন সিনিয়র ক্রিকেটার মোহাম্মদ হাফিজ।
কথা ছিল প্রথম তিনদিন হোটেল কক্ষে থাকবেন তারা। পরে পাবেন অনুশীলন সুবিধা। কিন্তু নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রথম দিন থেকেই বাইরে বেরিয়ে আড্ডা দিতে দেখা যায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের।
এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগ পাকিস্তান দলকে সতর্ক করে জানায়, আর এমন হলে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর দলের ১০ জনের করোনা আক্রান্তের রিপোর্ট এলে অনুশীলন সুবিধা বাতিল করা হয় তাদের। ওই সময়টায় পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়নি বলে পাকিস্তানের এক গণমাধ্যমে সাক্ষাতকারে অভিযোগ করেন হাফিজ, ‘নিউজিল্যান্ডে আমাদের সঙ্গে ভালো আচরণ করা হয়নি, আমাদের কয়েদীর মতো দেখা হয়েছে। অথচ আমরা ক্রিকেটার, দেশের দূত হিসেবে বিবেচনা করার কথা।’
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুটি হেরে সিরিজ খোয়ায় পাকিস্তান। শেষ ম্যাচ জিতলেও লাভ হয়নি। পুরো সিরিজেই ছন্দে ছিলেন অভিজ্ঞ হাফিজ। তার মতে বন্দিদশা না থাকলে দল হিসেবেও ভাল করতেন তারা, ‘কারাবন্দী অবস্থার কারণেই প্রস্তুতি নিতে পারিনি আমরা। প্রথম ম্যাচের আগে অল্প কদিন অনুশীলনের জন্য পেয়েছিলাম।’
তবে পাকিস্তান দলকে কোয়ারেন্টিন করা ছাড়া বিকল্প কোন উপায়ও ছিল না করোনা বেশ ভালোভাবে সামলে নিউজিল্যান্ডের কর্তৃপক্ষের। পাকিস্তানের অন্তত ১০জন করোনা আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের পুরো দলকে আইসোলেশনে পাঠানো ছাড়াও বিকল্প কি ছিল? হাফিজ মনে করেন, পিসিবি তাদের ভাড়া করা ফ্লাইটে না পাঠিয়ে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে পাঠিয়েছিল। বিপত্তি বেধেছে সেখানে, ‘আমি মনে করি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে পাঠানোয় ছেলেরা আক্রান্ত হয়েছে। কয়েকজনকে তো ইকোনমি ক্লাসেও বসতে হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব রাখা সম্ভব ছিল না। আমাদের ছেলেদের যথেষ্ট সুরক্ষা ছিল না।’
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর নিউজিল্যান্ডে দুই টেস্টের সিরিজ খেলছে পাকিস্তান। হাফিজসহ সীমিত সংস্করণের ক্রিকেটাররা ফিরে গেছেন দেশে।
Comments