৪৩ বাসে আরও ১৭৭৬ রোহিঙ্গা ভাসানচরের পথে

ছবি: এএফপি

স্বেচ্ছায় আরও ৪২৮টি পরিবারের ১৭৭৬ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। আজ মোট ৪৩টি বাসে উখিয়া থেকে চট্টগ্রামের পথে যাত্রা করেছেন তারা।

প্রথম ধাপের মতো এবারও রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে যাত্রার বিষয়ে প্রশাসনের কেউ মুখ খুলছে না। তবে তাদের ব্যাপক আয়োজন চোখে পড়ার মতো।

রোহিঙ্গা মাঝি মোহাম্মদ নূর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, স্বেচ্ছায় যারা যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন কেবল তাদেরকেই ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আজ সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে প্রথমবারে ১৩টি বাসে, দুপুর ২টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয়বারে ১৭টি বাসে এবং বিকেল সোয়া ৫টায় ১৩টি বাসে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রাম যাওয়া হয়। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্ট থেকে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তাদের নিয়ে বাসগুলো রওনা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

উখিয়া ডিগ্রি কলেজের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, গতকাল রোববার রাতে থেকে টেকনাফের ও উখিয়ার বৃহত্তর কুতুপালং এলাকার বিভিন্ন শিবির থেকে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে আগ্রহী রোহিঙ্গাদের নিয়ে আসা হয় এই অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে। রোহিঙ্গাদের এখানে আনা হয় শিবির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও এনজিও কর্মীদের সহযোগিতায় এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে।

অস্থায়ী ট্রানজিট পয়েন্টে কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের নানা বিষয়ে বিফ্রিং দেন এবং সেখানেই তাদের সকালের খাবার দেওয়া হয়। এরপর তাদের মালামাল ওঠানো হয় ট্রাকে।

গতকাল রাত থেকে উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আজ সকাল থেকে ওই এলাকায় সর্ব সাধারণের চলাচল সীমিত করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

রোহিঙ্গাদের আজ চট্টগ্রামে রাখা হবে। আগামীকাল সকাল ১০টার দিকে নৌপথে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে ভাসানচর।

গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে এক হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে মালয়েশিয়া যেতে গিয়ে সমুদ্র উপকূলে আটকে পড়া আরও তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সেখানে নিয়ে রাখা হয়েছিল।

এদের মাধ্যমেই ভাসানচরের সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারছেন উখিয়া-টেকনাফে অবস্থান করা রোহিঙ্গারা। ফলে, তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যেতে নিজেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা মাঝিরা।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

8h ago