তিন ধর্মে বিয়ে, অমর্ত্য সেনের কথা বলার অধিকার নেই: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি

বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ (বায়ে), নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

আবারও বিজেপির আক্রমণের মুখে পড়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। ভারতে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইন নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মন্তব্যের জবাবে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, তার (অমর্ত্য সেন) কথা বলার কোনও নৈতিক অধিকার নেই কারণ তিনি তিন ধর্মের তিন নারীকে বিয়ে করেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, মঙ্গলবার লাভ জিহাদ নিয়ে অমর্ত্য সেনের বক্তব্যের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘‌অমর্ত্য সেন বলেছেন, “ভালোবাসার মধ্যে জিহাদ থাকতে পারে না। ধর্মান্তরকরণ বিরোধী যে আইন বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে আছে, তা অসাংবিধানিক।” তিনি তো তিন বার তিন ধর্মে বিয়ে করেছেন। তার কথা বলার নৈতিক অধিকার নেই।’

অমর্ত্য সেন সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘যিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন, যাকে দেশের মানুষের সঙ্গে দেখা যায় না, যাকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান বা মহামারির মতো সংকটের সময় পাওয়া যায়নি, তার কাছে নীতি কথা শুনতে আমরা প্রস্তুত নই।’‌ 

সোমবার বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে যে ধর্মান্তরকরণ বিরোধী আইন ও ‘লাভ জিহাদ’ সম্পর্কে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘আপনার ভালোবাসার কাউকে বিয়ে করার ক্ষেত্রে জিহাদ থাকতে পারে না।’

এনডিটিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এই আইন মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হয়। জীবনযাপনের অধিকার মানুষের একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। এই আইনের ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মানুষ চাইলে নিজের ধর্ম বদলে অন্য ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন। এটা সংবিধান স্বীকৃত। তাই এই আইন অসাংবিধানিক।’‌

তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এখনই এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত। এই আইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা উচিত। এটি খুব বড় ইস্যু। ভারতের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই। আকবরের সময় নিয়ম হয়েছিল, যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন এবং যে কোনও ধর্মে বিয়ে করতে পারেন। আমাদের দেশে সেই সংস্কৃতি আছে। আমাদের সংবিধান ব্যক্তিগত স্বাধীনতা রক্ষার ব্যাপারে স্পষ্ট। এই ধরনের আইন সংবিধানকে অবমাননা করে।’

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

28m ago