গত মৌসুমের অভিজ্ঞতায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটে বেড়েছে সরিষা চাষ

গেল বছর সরিষার আশানুরূপ দাম পাওয়ায় এ বছর কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ৮০০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় এবার বুক বেঁধেছেন সরিষা চাষিরা। তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে। গেল বছরের দর পাওয়া গেলেও ভালো মুনাফা হবে।
ছবি: এস দিলীপ রায়

গেল বছর সরিষার আশানুরূপ দাম পাওয়ায় এ বছর কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ৮০০ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে। ভালো ফলনের আশায় এবার বুক বেঁধেছেন সরিষা চাষিরা। তারা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হবে। গেল বছরের দর পাওয়া গেলেও ভালো মুনাফা হবে।

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্র জানায়, এ বছর দুই জেলায় ৭ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। গেল বছরের চেয়ে ৮০০ হেক্টর বেশি জমি সরিষা চাষের আওতায় এসেছে।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার ভাটিবাড়ী গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গেল বছর তিনি এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলেন। তিন হাজার টাকা বিনিয়োগ করে পেয়েছিলেন পাঁচ মণ সরিষা। খরচ বাদ দিয়ে মুনাফা ছিল সাড়ে ছয় হাজার টাকা।

তিনি জানান, আবহাওয়া ভালো থাকলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫-৭ মণ সরিষা উৎপন্ন হয়। এ বছর সরিষার ভালো ফলন হবে। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার আরাজি কদমতলা গ্রামের সরিষা চাষি মজিবুর রহমান জানান, গত বছর প্রতি মণ সরিষার দাম ছিল ১৮০০-২৫০০ টাকা। মৌসুমের শেষে আরও দাম উঠেছিল। এ কারণে এবার দুই বিঘা বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন তিনি।

একই গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম (৬০) বলেন, ‘সরিষা চাষ করলে জমির উর্বরতা বাড়ে। পরবর্তীতে অন্য ফসল উৎপাদনে সহায়ক হয়। এর সঙ্গে সরকারি প্রণোদনা পাওয়ায় এ বছর তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি।’

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক শামসুদ্দিন মিয়া জানান, কৃষকদের সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারিভাবে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরিষা চাষে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় এ বছর তারা বেশি জমিতে চাষ করছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Political parties want road map to polls

Leaders of major political parties yesterday asked Chief Adviser Prof Muhammad Yunus for a road map to reforms and the next general election.

7h ago