কুলাউড়ায় ঘর পাচ্ছে ১১০টি গৃহহীন পরিবার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা মহিবুন্নেসার ছেলের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তার স্বামী মারা যান। এরপর তার আর শ্বশুর বাড়িতে জায়গা হয়নি। মহিবুন্নেসার স্বামী শ্রমিকের কাজ করতেন। ফলে কখনোই সংসারে স্বচ্ছলতা ছিল না। ছেলেকে নিয়ে যখন মহিবুন্নেসা রাস্তায় নেমে আসেন, তখন উপজেলার রাউৎগাঁও এলাকার এক বাসিন্দা তাকে বারান্দায় থাকতে দেন।
Moulavibazar_House_30Dec20.jpg
মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে খাস জমি বন্দোবস্ত ও ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: স্টার

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা মহিবুন্নেসার ছেলের বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তার স্বামী মারা যান। এরপর তার আর শ্বশুর বাড়িতে জায়গা হয়নি। মহিবুন্নেসার স্বামী শ্রমিকের কাজ করতেন। ফলে কখনোই সংসারে স্বচ্ছলতা ছিল না। ছেলেকে নিয়ে যখন মহিবুন্নেসা রাস্তায় নেমে আসেন, তখন উপজেলার রাউৎগাঁও এলাকার এক বাসিন্দা তাকে বারান্দায় থাকতে দেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আল্লাহর কাছে কেঁদে কেঁদে দোয়া করতাম। বলতাম আমার যেন একটা নিজের ঘর হয়। প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে আল্লাহ আমাকে মাথা গুঁজার ঠাঁই করে দিচ্ছেন।

মহিবুন্নেসা একাই নন— ধীরেন্দ্র মালাকার (৬৫), জহির আলীসহ (৭০) মোট ১১০টি ভূমিহীন পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ঘর দেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তাদের কাঙ্ক্ষিত নিজেদের ঘরের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেবে। উপজেলা প্রশাসন ৪৪০টি ভূমিহীন পরিবারের তালিকা করেছে। তার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ১১০টি ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার।

গতকাল মঙ্গলবার বিকালে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজরাতুন নাঈম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শিমুল আলী রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মুকুন্দপুরে ১২টি ঘরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। এ সময় মীর নাহিদ আহসান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অনুযায়ী মৌলভীবাজারে এক হাজার ১২৬টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে খাস জমি বন্দোবস্ত ও ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Police see dead man running

Amin Uddin Mollah is dead and buried for two years and 10 months.

8h ago