ক্রোয়েশিয়ায় এক দিনের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প, নিহত ৭
ক্রোয়েশিয়ায় এক দিনের ব্যবধানে দুইবার ভূমিকম্প হয়েছে। এতে নিহত হয়েছেন সাত জন এবং আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি মানুষ।
গতকাল মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত সোমবার ক্রোয়েশিয়ার মধ্যাঞ্চলে ৫ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর ২৪ ঘণ্টা পর একই এলাকায় আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৪।
গতকাল সারাদিন দেশটিতে বেশ কয়েকটি ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে উল্লেখ করে বার্তা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সেগুলো ৩ মাত্রার বা তার চেয়ে কিছুটা শক্তিশালী ছিল।
প্রতিবেদন মতে, গতকালকের ভূমিকম্প ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেবসহ প্রতিবেশী দেশ বসনিয়া, সার্বিয়া ও আরও দূরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনাতেও অনুভূত হয়েছে।
সতর্কতা হিসেবে স্লোভেনিয়া তাদের একমাত্র পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে।
শক্তিশালী দুই ভূমিকম্পে ক্রোয়েশিয়ার মধ্যাঞ্চলের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
উদ্ধারকর্মীরা মধ্যাঞ্চলীয় পেত্রেইনিয়া ও অন্যান্য শহরে ভেঙে পড়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তুপ থেকে মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। উদ্ধারকাজে সহায়তার জন্য সেখানে সেনা সদস্যদের পাঠানো হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত গ্লিনা শহর পরিদর্শন শেষে ক্রোয়েশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী টোমো মেদভেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত গ্লিনা শহরে পাঁচ জনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। পেত্রেইনিয়ায় ১২ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর সংবাদও পাওয়া গেছে।’
দমকল কর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা হিনার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাজিনা গ্রামের একটি গির্জার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আরেকজনের মরদেহ পাওয়া গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ভূমিকম্পে অন্তত ২০ জন সামান্য আঘাত পেয়েছেন এবং আরও ছয় জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
স্থানীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আটকেপড়া মানুষদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সেখানে সহায়তার জন্য সেনাবাহিনী পাঠানো হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরপরই ঘটনাস্থলে যান দেশটির প্রধানমন্ত্রী আদ্রেজ প্লেনকোভিক। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সেখানে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী এসেছে। বলেছেন, ‘পেত্রিনজা থেকে কিছু মানুষকে সরিয়ে নিতে হবে, কারণ সেখানে থাকা নিরাপদ নয়।’
জাগরেবের ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণের পেত্রেইনিয়া শহরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি বলে জানিয়েছে জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস।
Comments