সীমান্তে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা বন্ধে বিওপি বাড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি সদস্যদের পদক প্রদান অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ছবি: সংগৃহীত

সীমান্তে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তৎপরতা বন্ধে বর্ডার আউটপোস্ট (বিওপি) সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মন্ত্রী বলেন, 'পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসী গ্রুপ আছে। আমাদের এলাকা দিয়ে ধাওয়া দিলে দুর্গম এলাকা পার হয়ে তারা ওই দিকে চলে যায়। সেটা যেন না হয় সেজন্য বিওপি সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।'

বুধবার রাজধানীতে বিজিবি সদর দপ্তরে বিজিবি সদস্যদের পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক ভারতের মিজোরাম রাজ্যের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলের আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর আস্তানা আছে জানিয়ে ভারতের কাছে উদ্বেগ জানান। ভারতে আসামের গুয়াহাটিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলনে, আস্তানাগুলো ধ্বংস করতে ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধে বিজিবিকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া আমরা বর্ডার রোড নির্মাণে জোর দিয়েছি। বর্ডার রোড হয়ে গেলে এ সমস্ত সমস্যা আর হবে না।

ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে এবং সামনেও কাজ করবে।

তিনি বলেন, এমন কিছু এলাকায় মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের সীমান্ত রয়েছে। যেখানে সীমান্ত পাড় হয়ে কিছু দুষ্কৃতকারী চক্র অপরাধ করে চলে যায়। আবার সেখানে অপরাধ করে আমাদের এখানে এসে শেল্টার নেয়।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাফিনুল ইসলাম বলেন, বিএসএফ প্রতিবার আমাদের কিছু এরকম লোকেশন দেয়। আমরা সেখানে অপারেশন পরিচালনা করি কিন্তু আদতে সেখানে কিছু পাই না। সেটাও আমরা বিএসএফকে জানিয়েছি, আমাদের যে লিস্টগুলো দেয়া হয়েছে, সেখানে অভিযান চালিয়ে এরকম কোন ক্যাম্প খুঁজে পাইনি।

আজ বিজিবি সদর দপ্তরের মাল্টিপারপাস সেডে বাহিনীটির ২০২০ সালের বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ পদক প্রদান করা হয়। স্বীকৃতিস্বরূপ ৪টি ক্যাটাগরিতে ৫৯ জনকে পদক প্রদান করা হয়েছে। এসময় বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তা, বিজিবির সব পর্যায়ের কর্মকর্তা, সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus inaugurates month-long programme on July uprising

The chief adviser said the annual observance aimed to prevent the reemergence of authoritarian rule in the country

1h ago