আইপিএলে খেলার কারণে আত্মবিশ্বাসী গিল-সিরাজ, বললেন শাস্ত্রী
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) বিশ্বের নামিদামি খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতা হয়েছে শুবমান গিল ও মোহাম্মদ সিরাজের। সেখানে মাঠে ও মাঠের বাইরে দেশি-বিদেশি তারকাদের সান্নিধ্য পেয়েছেন এই দুজন। যা তাদেরকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার ক্ষেত্রে দারুণ আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে বলে মনে করেন ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রী।
আগের দিন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয় ভারত। অথচ কয়েক দিন আগেই সিডনিতে সাদা পোশাকে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছিল তারা। সেই বিব্রতকর অভিজ্ঞতার সঙ্গে যোগ হয়েছিল নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও পেস আক্রমণের অন্যতম ভরসা মোহাম্মদ শামির অনুপস্থিতি। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত দলনেতা আজিঙ্কা রাহানের পাশাপাশি আরও কয়েক জনের অবদানে চ্যালেঞ্জ উতরে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। ফলে চার ম্যাচের টেস্টে সিরিজে চলছে ১-১ সমতা।
মেলবোর্নে পৃথ্বী শয়ের জায়গায় সুযোগ পেয়েছিলেন গিল। ২১ বছরের এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে করেন ৪৫ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি অপরাজিত থাকেন ৩৫ রানে। শামির চোটে দলে ঢোকা সিরাজ দুই ইনিংস মিলিয়ে নেন ৫ উইকেট। ২৬ বছরের এই পেসারকে দ্বিতীয় ইনিংসে পালন করতে হয় বাড়তি দায়িত্ব। কারণ, চোটের কারণে উমেশ যাদব মাত্র ৩.৩ ওভার বল করতে পারেন।
অভিষেক টেস্টে চাপের মুখে নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন এই দুই তরুণ। তাদেরকে কৃতিত্ব দিতে গিয়ে ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসর আইপিএলের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন শাস্ত্রী, ‘গত তিন-চার বছর ধরে আমরা এই ঘরানার (ভয়ডরহীন) ক্রিকেটই খেলছি। আমি মনে করি, এক্ষেত্রে আইপিএলেরও বড় ধরনের অবদান রয়েছে।’
‘তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের সঙ্গে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে খেলে এবং সেকারণে (আত্মবিশ্বাস নিয়ে) কোনো ধরনের ঘাটতি থাকলেও তা দ্রুত দূর হয়ে যায়।’
সিরাজের লম্বা স্পেলে বোলিং করার দক্ষতার বন্দনার পাশাপাশি গিলের ব্যাটিং সামর্থ্য নিয়েও মুগ্ধতা জানান তিনি, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে খোলসে ঢুকে পড়া খুবই সহজ। তবে সে (গিল) উইকেটে গিয়ে নিজের স্বাভাবিক খেলাটি খেলেছে। দলের দৃষ্টিকোণ থেকে এটা দুর্দান্ত একটি ব্যাপার ছিল।’
Comments