কুয়াকাটা সৈকতে মাইকের উচ্চ শব্দে অতিষ্ঠ পর্যটক

শব্দ দূষণের কবলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত। নৌ-ভ্রমণে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের মালিক-কর্মচারীরা সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীনভাবে মাইকে বিভিন্ন নৌপথে যাত্রীবহনের নামে উচ্চ শব্দে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। বিভিন্ন স্পট ভ্রমণের মাইকের শব্দ পর্যটকদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে।
সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীনভাবে মাইকে বিভিন্ন নৌপথে যাত্রীবহনের নামে উচ্চ শব্দে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। ছবি: স্টার

শব্দ দূষণের কবলে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকত। নৌ-ভ্রমণে ব্যবহৃত ইঞ্জিনচালিত যানবাহনের মালিক-কর্মচারীরা সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীনভাবে মাইকে বিভিন্ন নৌপথে যাত্রীবহনের নামে উচ্চ শব্দে পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। বিভিন্ন স্পট ভ্রমণের মাইকের শব্দ পর্যটকদের কাছে বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে।

কুয়াকাটা সৈকতে সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম দিকে বাঁশের মাথায় মাইক লাগিয়ে যাত্রীদের ডাকা হচ্ছে। অন্তত আটটি টুরিস্ট বোটের কর্মচারীরা উচ্চ শব্দে তাদের যানবাহনে ভ্রমণে যাত্রীদের আহ্বান করছেন।

কুয়াকাটা সৈকত থেকে টুরিস্ট বোটে কয়েকটি নয়নাভিরাম স্পট দেখার সুযোগ আছে। এর মধ্যে বরগুনার তালতলী উপজেলার ফাতরার বন, পাথরঘাটা উপজেলার হরিণঘাটার বন, লালদিয়ার চর, বাগেরহাটের সুন্দরবনের একাংশ কটকা উল্লেখযোগ্য।

এসব স্পটে পর্যটকদের উৎসাহিত করতে কুয়াকাটা সৈকতে ৮টি টুরিস্ট বোটের কর্মীরা মাইক ব্যবহার করছে। এর মধ্যে সানরাইজ ইকো ট্যুরিজম, কুয়াকাটা ট্যুরিজম, স্বাধীন ট্যুরিজম, সি স্টার ট্যুরিজম, খলিফা ট্যুরিজম, সি ট্যুরিজম, হোসাইন ট্যুরিজম উল্লেখযোগ্য।

তবে, দু’একটি ট্যুরিজম ব্যবসায়ী মাইক ব্যবহার করছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্যুরিজম ব্যবসায়ী জানান, এখন প্রতিযোগিতার বাজার। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আমরা মাইক ব্যবহার করছি। তবে প্রশাসন নিষেধ করলে আমরা বন্ধ করে দেব।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, ‘বিষয়টি জানতে পেরেছি। শব্দ দূষণ বন্ধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

নরসিংদী থেকে ঘুরতে আসা একরামিন সিকদার বলেন, ‘মাইকের উচ্চ শব্দের কারণে কান ঝালাপালা। পর্যটকরা এখানে বেলাভূমে প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতে আসে। কিন্তু, সেখানে এ ধরণের শব্দ দূষণ সবার কাছে বিরক্তিকর। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।’

সৈকত ভ্রমণে কুষ্টিয়া থেকে আগত মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, ‘সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্যসহ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন স্পট দেখতে পর্যটকরা এখানে আসে। কর্মক্লান্ত মানুষরা একটু প্রকৃতির নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটাতেই চাই তারা। সেখানে এ ধরনের শব্দ দূষণ সবার জন্য অস্বস্তিকর।’

Comments