বগুড়ায় ২ সাংবাদিকের ওপর হামলা

বগুড়ায় হামলার শিকার সাংবাদিককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার সদর উপজেলার দশ টিকা এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি মাজেদুর রহমান এবং ক্যামেরা পারসন রবিউল ইসলাম।

আজ দুপুরে অতর্কিত এই হামলায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে ছিলেন ক্যমেরা পারসন রবিউল ইসলাম। সদর থানার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পুলিশ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মাজেদুর এবং রবিউল ইসলাম এখন সুস্থ আছেন। তাদের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তারা এখন আশঙ্কামুক্ত।

ডিবিসি নিউজের বগুড়া জেলা প্রতিবেদক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে সদর উপজেলায় গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৪৫টি ঘর নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি হওয়ার কথা জানতে পেরে সময় টিভির প্রতিবেদক মাজেদুর রহমান এবং তার ক্যামেরা পারসন রবিউল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে গিয়েছিলেন। স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় সময় পাঁচ-ছয় জন দুর্বৃত্ত পেছন থেকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে ক্যামেরা, মেমরি কার্ড, এবং সাংবাদিকদের মোবাইল দুইটি কেড়ে নেন।

সদর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘মারধরের খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই এবং সাংবাদিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি। দুর্বৃত্তরা তাদের ক্যমেরা, মেমরি কার্ড এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়েছে। আমরা সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি জনি নামের এক স্থানীয় যুবক হামলায় জড়িত। স্থানীয় একজন ইউপি মেম্বার কথাও উঠে এসেছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।

প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজিজুর রহমান বলেন, সাংবাদিকরা খবরের কাজে সেখানে যেতেই পারেন। কিন্তু করা তাদের মারলো সেটা এখনো বের করতে পারিনি। গত নভেম্বর থেকে এখানে গৃহহীনদের জন্য ৪৫টি ঘর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। আমার অধীনেই কাজ চলছে এবং কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

1h ago