রিকশাচালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার: পুলিশ কনস্টেবল রিমান্ডে
রংপুরে রিকশাচালক নাজমুল ইসলামকে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলীকে চার দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে রংপুরের তাজহাট আমলি আদালতের বিচারক আল মেহবুব এ আদেশ দেন।
এছাড়া, এ ঘটনায় কনস্টেবল হাসান আলীর স্ত্রী সাথী বেগমকে কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদেরও নির্দেশ দেন আদালত।
আদালত পরিদর্শক নাজমুল কাদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাজহাট থানার উপপরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম আজ অভিযুক্ত হাসান আলীকে আদালতে হাজির করে চার দিনের রিমান্ড আবেদন করলে, আদালত তা মঞ্জুর করেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান প্রধান জানান, রিকশাচালক নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ হাসানের ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা নথিভুক্ত করা হয়। মরদেহের ময়না তদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার সম্পৃক্ততা থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নথিভুক্ত হবে।
নাজমুলের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনও আসেনি বলে জানান তিনি।
গত ২৩ ডিসেম্বর দুপুরে কনস্টেবল হাসানের বাসা থেকে রিকশাচালক নাজমুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সেদিনই স্ত্রীসহ কনস্টেবল হাসান আলীকে আটক করে পুলিশ। রাতে নাজমুলের স্ত্রী শ্যামলী বেগম বাদি হয়ে হাসান আলী ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
নিহত নাজমুলের বাড়ি লালমনিরহাটের মুস্তফি এলাকায়। নগরীর আশরতপুর ইদগাপাড়ায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। আর অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত হাসান আলী আশরতপুর কোর্টপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় পরিবারসহ বসবাস করেন।
নাজমুলের পায়ে সমস্যা ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে হাসান আলীর ব্যক্তিগত ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় চালাতেন। ২২ ডিসেম্বর রাতে ওই রিকশা নিয়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ হলে, নাজমুলকে মারধর করেন হাসান আলী। এক পর্যায়ে, নাজমুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে কোর্টপাড়ার বাসায় নিয়ে যান হাসান।
পরদিন দুপুরে হাসানের বাসায় নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে মেট্রোপলিটন তাজহাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
Comments