ছুটি শেষ হওয়ার আগেই হোয়াইট হাউসে ফিরছেন ট্রাম্প
আগামী ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে জো বাইডেনকে সার্টিফাই করার আগে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনের ফল পরিবর্তনের চেষ্টায় প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ছুটির আগেই ওয়াশিংটনে ফিরতে পারেন ট্রাম্প। নিউ ইয়ার ইভ পার্টির আগেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাম বিচ ছাড়বেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্রের বরাতে জানা গেছে, দক্ষিণ ফ্লোরিডা ক্লাবে ইতোমধ্যেই অতিথিরা আসতে শুরু করেছেন। সাধারণত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতি বছর গণমাধ্যম ও সতীর্থদের সামনে রেড কারপেটে হাঁটেন। এ বছরও ট্রাম্প সেখানে উপস্থিত থাকবেন। তবে, তিনি রেড কারপেটে হাঁটবেন না।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প স্থানীয় সময় দুপুর ১১টায় ফ্লোরিডা ছেড়ে হোয়াইট হাউসের উদ্দেশে রওনা হবেন।
জানা গেছে, ছুটিতে ফ্লোরিডায় অবস্থান করার সময় ট্রাম্প ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী ফল পাল্টে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েই ব্যস্ত ছিলেন।
কয়েকটি সূত্রের বরাতে সিএনএন জানায়, ফ্লোরিডায় থাকাকালীন ট্রাম্প বারবার কংগ্রেসের সদস্য ও অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে ৬ জানুয়ারির ব্যাপারে কথা বলেছেন। কংগ্রেসে কারা ফলাফল নিয়ে আপত্তি জানাবেন, কী করা হবে এ নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যক্তিগত অ্যাটর্নি রুডি জুলিয়ানি, ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র ও তার বান্ধবী কিম্বারলি গিলফয়েলসহ অনেকে ছিলেন। তারা বরাবরই নির্বাচনী ফল পাল্টে দেওয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছেন।
গত ১৪ ডিসেম্বরের চূড়ান্ত গণনায় জো বাইডেন ৩০৬টি ও ডোনাল্ড ট্রাম্প ২৩২টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি শপথ নিতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সদ্য নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো হোয়াইট হাউস ছাড়তে রাজি নন। পরাজয়ের পর থেকে ট্রাম্প নির্বাচনের ফল পাল্টে দিতেই সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন। এখন পর্যন্ত তার আইনি লড়াইয়ের প্রতিটি প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে।
আগামী ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিকভাবে ইলেকটোরাল কলেজের ভোট গণনার জন্য আহ্বান জানানো হবে।
আগামী মাসে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে কোনো সদস্য চাইলে কোনো রাজ্যের নির্বাচনী ভোটের ফল নিয়ে আপত্তি তুলতে পারবেন। যদি কোনো রাজ্যের একজন সিনেট সদস্য ও একজন হাউস সদস্য একসঙ্গে ওই রাজ্যের ভোট নিয়ে আপত্তি তোলে, তবে এ নিয়ে অধিবেশনে দুই ঘণ্টার বিতর্ক চলবে।
বিতর্কের পরে, প্রতিটি সদস্য ভোট দেবে। যদি হাউস ও সিনেট উভয়েরই সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা ভোটের বিরুদ্ধে মত দেন, তবে নির্বাচনী ভোটকে বাতিল ঘোষণা করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৮৭ সালের পর আর কোনো নির্বাচনে এমনটি ঘটেনি।
আর পড়ুন:
ট্রাম্প সই না করায় বন্ধ হচ্ছে কোটি আমেরিকানের বেকারভাতা
মেয়ের শ্বশুরসহ আরও ২৬ জনকে ক্ষমা করলেন ট্রাম্প
ট্রাম্পের ক্ষমার তালিকায় ১৫ আসামি
ক্ষমতার শেষ চার সপ্তাহে যা করতে পারেন ট্রাম্প
ক্ষমতা ছাড়ার আগে ইরানে হামলার পরিকল্পনায় ট্রাম্প
আর কতবার পরাজিত হলে ট্রাম্প বুঝবেন যে পরাজিত হয়েছেন
১০ বছর আয়কর দেননি ট্রাম্প: নিউইয়র্ক টাইমস
এখনো ফল পাল্টানোর কল্পনায় ট্রাম্প, হোয়াইট ছাড়তে অস্বীকৃতি জানাতে পারেন
ট্রাম্প যা করছেন, যা করতে পারেন এবং পরিণতি: আলী রীয়াজের বিশ্লেষণ
‘ট্রাম্প প্রশাসনের চাপে’ ফাইজারের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিলো এফডিএ
Comments