বাংলাদেশের অর্থনীতি ২০২০: ভঙ্গুর থেকে উদীয়মান

এক ধরনের অনিশ্চয়তা নিয়েই শুরু হয়েছিল ২০২০। চীনে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার পর তাদের বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাংলাদেশের রপ্তানির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশের গন্তব্য ইউরোপে দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করে করোনার সংক্রমণ।
বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা কাজে ফিরছেন। রয়টার্স ফাইল ছবি

এক ধরনের অনিশ্চয়তা নিয়েই শুরু হয়েছিল ২০২০। চীনে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ার পর তাদের বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপেও ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাংলাদেশের রপ্তানির ৬০ শতাংশেরও বেশি অংশের গন্তব্য ইউরোপে দ্রুত হারে বাড়তে শুরু করে করোনার সংক্রমণ।

যদিও তখনো ভাইরাসটি বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি, কিন্তু, এর সংক্রমণের ফলে তৈরি হওয়া বৈশ্বিক সংকটের আঁচ তখন বাংলাদেশও অনুভব করতে শুরু করে।

দুঃসংবাদটি আসে কয়েকমাস পর। ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এর সপ্তাহখানেক পর করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।

এর কিছুদিনের মধ্যেই করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। ফলে অর্থনীতিতে এশিয়ার শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে থাকা বাংলাদেশের অর্থনীতি সাময়িকভাবে স্থবির হয়ে পড়ে। মার্চের দ্বিতীয়ার্ধে ১০ দিনেরও কম সময়ে পুঁজিবাজারের মূল সূচক ১৫ শতাংশ কমে যায়।

দেশব্যাপী লকডাউন চলাকালীন লাখো মানুষ চাকরি হারিয়েছে, দারিদ্র্যের হার হয়েছে দ্বিগুণ, অনেক ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের সিংহভাগ মানুষের আয় কমে গেছে।

আমদানিকারক দেশগুলো তাদের অর্থনীতি সচল রাখতে হিমশিম খাওয়ায় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশের রপ্তানি খাত। এই সময়ে বাংলাদেশ প্রত্যক্ষ করেছে এক নজিরবিহীন ত্রিপক্ষীয় সংকট। সেই তিনটি পক্ষ হলো— স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও খাদ্য।

জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার ঘোষণা করেছে এক লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশে ঘোষিত সবচেয়ে বৃহৎ অঙ্কের প্রণোদনাগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশের বিভিন্ন ফার্ম ও ব্যবসায়গুলোকে সহায়তা করতে সরকার-ঘোষিত এই ঋণের সুদের হার অনেক কম করা হয়েছে।

সংকট কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে বাংলাদেশকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা দিয়েছে বহুপাক্ষিক ব্যাংক ও দ্বিপাক্ষিক অংশীদাররাও।

তবে, এই সংকটকালে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা করেছে কৃষক ও অভিবাসী শ্রমিকরা। কৃষকরা তাদের উৎপাদনকাজ অব্যাহত রেখে খাদ্যশস্যের যোগান দিয়েছেন এবং এই সময়েও দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন অভিবাসী শ্রমিকরা। রেমিট্যান্স আসার এই প্রবল প্রবাহে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রেকর্ড রিজার্ভ হয়েছে।  যা দেশের অর্থনীতিকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।

জুনে দেশের অর্থনীতি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত সাহসী একটি পদক্ষেপ ছিল এবং যেহেতু এরপর ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি, তাই এটি বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে।

খাদ্য উৎপাদন, রেমিট্যান্স, প্রণোদনা প্যাকেজ, পুনরায় খোলা এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও রপ্তানি বৃদ্ধি দেশকে পুনরুদ্ধারের পথেই নিয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ বলেছিল, ‘কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও ২০২০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকোচনের হাত থেকে বাঁচতে পেরেছিল।’

গত বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আট দশমিক দুই শতাংশ থাকলেও ২০২০ সালে তা কমে তিন দশমিক আট শতাংশে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল। জিডিপির শতাংশের তুলনায় সরকারের ঋণ ২০২০ সালে বেড়ে ৩৯ দশমিক ছয় শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী যা কম বলেই বিবেচিত হয়েছে।

২০২০ সালে সরকারের ছয় দশমিক আট শতাংশ আর্থিক ঘাটতি ছিল। যেকারণে সরকার অর্থনৈতিক গতি বাড়াতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে পেরেছিল। ‘এটা বিগত মাসগুলোতে অর্থনীতিকে চলমান রাখতে সহায়তা করেছিল’, বলেছিলেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

এখানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মহামারির কারণে জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি সীমাবদ্ধ থাকলেও বৈশ্বিক চাহিদা ও আন্তর্জাতিক সরবরাহের ওপর এর প্রভাবই বোঝায় যে যথেষ্ট অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।’

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্য অনুযায়ী, মহামারি সত্ত্বেও বাংলাদেশ জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বে তৃতীয় এবং এশিয়ায় প্রথম অবস্থানে থাকবে।

জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে শুধু গিয়ানা ও দক্ষিণ সুদান বাংলাদেশের আগে রয়েছে। ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক তিন শতাংশ ও পাকিস্তানের শূন্য দশমিক চার শতাংশে দাঁড়াবে।

আইএমএফ’র সদস্যভুক্ত ১৯০টি দেশের মধ্যে কেবল ২৩টি দেশের বিদায়ী বছরে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, যেগুলো দেশীয় চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছিল এবং জনগণকে সংকট থেকে বাঁচতে সহায়তা করেছিল। যেকারণে সংকটকালেও বাংলাদেশ প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

দ্য ডেইলি স্টারকে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ছাড়া এশিয়ার আর কোনো দেশই খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই অগ্রগতি বজায় রাখতে পেরেছে।’

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক জায়েদ বখত বলেছেন, ‘মহামারির প্রভাব যতটা ক্ষতিকর হবে বলে প্রাথমিকভাবে ভাবা হয়েছিল, পরে আর তেমন হয়নি। অর্থনীতি মহামারির প্রভাবকে ঘিরে রেখেছিল এবং এখন পুনরুদ্ধারের পথেই রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, জনগণ এখন আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাওয়ার এবং চাকরি হারানোর কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। তারা জীবিকা নির্বাহের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছে।

তবে, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালয়ের (সিপিডি) ডিস্টিনগুইশ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান বলছিলেন, করোনা মহামারির আগে থেকেই রপ্তানি, আমদানি, বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্য, বেসরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধি, বিনিয়োগ ও সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের মতো প্রধান সূচকগুলোতে বাংলাদেশের অবস্থা নাজুক ছিল।

‘এর কারণ ছিল যে, বাংলাদেশ মূলত যেসব দেশের সঙ্গে বাণিজ্য পরিচালনা করে থাকে, সেগুলোতে জানুয়ারি থেকেই করোনার প্রভাব শুরু হয়েছিল’, বলেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলছিলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে ৩০ শতাংশে ও বেকারত্বের হার বেড়ে ৪০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

‘সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিপুল পরিমাণের প্রণোদনা প্যাকেজ অর্থনীতিকে সহায়তা করেছে। কিন্তু, ক্ষতি এখনো পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা যায়নি’, বলেন সিপিডির এই ডিস্টিনগুইশ ফেলো।

মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, রপ্তানি ও পর্যটনের মতো করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর ওপর অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নির্ভরশীলতা কম। এখানকার অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে অভ্যন্তরীণ চাহিদা।

‘করোনায় স্বাস্থ্য, অর্থনীতি ও খাদ্য— এই তিন খাতে বিপর্যয়ে পড়তে হয়েছিল অনেক দেশকে। আমাদের খাদ্য নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। স্বাস্থ্য ও অর্থনীতিতে কিছুটা চাপ পড়েছিল। খাদ্য খাতে আমরা অনেক ভালো করেছি। খাদ্য খাত বাংলাদেশের শক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম।’

মোস্তাফিজুর রহমান বলছিলেন, শক্তিশালী অর্থনৈতিক কার্যক্রম থাকলে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ত। কিন্তু, এটি কম রয়েছে। যার মানে বোঝায় যে, ব্যবসা-বাণিজ্য এখনো করোনা-পূর্বকালীন পরিস্থিতিতে ফিরে আসেনি।

দেশের রপ্তানির হার করোনা-পূর্বকালীন পরিস্থিতির চেয়ে অনেক দূরে রয়েছে এবং মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি এখনো নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নীতিগত সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে এবং অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো চালু করার উদ্যোগ নিতে হবে।’

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, সুসংবাদটি হলো এই যে, ২০২০ সাল এখন আয়নার পেছনে।

‘দুঃসংবাদটি হলো, আমরা নিশ্চিত হতে পারছি না যে, গেল বছরটিতে বিশ্বে যে অভূতপূর্ব সংকট সৃষ্টি হয়েছিল, সেটাকে এখন আমরা অতীত বলতে পারব কি না।’

জাহিদ হোসেন বলছিলেন, অর্থনীতি আবার আগের অবস্থায় ফিরছে। তবে, বিনিয়োগের অবস্থা এখনো হতাশাজনক হওয়ায় এবং বহিরাগত চাহিদা কমতে থাকায় এটি এখনো দ্রুত ও টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে ফিরে আসেনি।

‘আমি আশা করি বিশ্ব অর্থনীতি ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ২০২১ আমাদের একটি টেকসই প্রবৃদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনবে’, বলেন তিনি।

সামনের দিনগুলোতে করণীয় নিয়ে উপদেশ হিসেবে বিআইডিএস’র গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন বলছিলেন, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের উচিত আরও চাকরির সুযোগ তৈরির এবং আরও অনেক দরিদ্র মানুষকে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় আনার দিকে মনোনিবেশ করা।

‘এসএমইগুলোতে (ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা) প্রণোদনা প্যাকেজ বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও সক্রিয় ও উদ্ভাবনী ভূমিকা থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, অনেক দুর্বল প্রতিষ্ঠানই আরও দুর্বল হয়েছে। সরকারের উচিত তাদেরকে সহায়তা করা।

অর্থমন্ত্রীর বিশ্বাস, দেশের কৃষি, উৎপাদন ও সেবা খাতের অর্জন গত ছয় মাসের তুলনায় আগামী ছয় মাসে আরও বেশি হবে।

‘করোনার প্রথম ঢেউয়ের প্রভাবের কারণে বাংলাদেশ যে বড় ধরনের চাপে পড়েছিল, দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে তা হবে না।’

আরও প্রণোদনা প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খুবই নমনীয়। যা প্রয়োজন, তিনি তাই করবেন।’

‘আমরা একটি সম্প্রসারণ নীতি গ্রহণ করেছি এবং আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সেটি অনুসরণ করছি। আমি মনে করি না যে আমরা কোথাও আটকে যাব।’

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কথা উল্লেখ করে জায়েদ বখত বলেন, এটির কারণে কিছু ঝুঁকি আবারও আমাদের সামনে এলো। ‘দ্বিতীয় ঢেউ কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা দেখার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, মার্চে দেশে মহামারিটি আঘাত হানার পর থেকে সরকার যেভাবে অর্থনীতিকে সহায়তা করে যাচ্ছে, তেমনটিই করে যাওয়া উচিত।

‘জনগণের মনোবল বাড়ানোর জন্য আমাদের করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। একটি বৃহৎ টিকাদান কর্মসূচি দ্রুত অর্থনীতিকে প্রত্যাবর্তন করতে সহায়তা করবে’, যোগ করেন জায়েদ বখত।

জায়েদ বখতের সুরে সুর মিলিয়েই জাহিদ হোসেন বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে ভাইরাসটিকে বশে আনতে হলে ২০২১ সালে বৃহৎ জনগণকে টিকা দেওয়াই হবে মূল চাবিকাঠি।’

বর্তমানে আমাদের আশার আলো দেখাচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে কার্যকর হিসেবে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ভ্যাকসিন ফাইজার, মডার্না ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

‘কাঠামোগত সংস্কার পুনরুজ্জীবিত করা, মহামারিজনিত কারণে হুমকির সম্মুখীন দক্ষ ব্যবসায়িক উদ্যোগগুলোর জন্য নীতিগত সহায়তা নিশ্চিত করা এবং কাউকে পেছনে না রেখে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করাই হবে সংকট নিরসনে আমাদের মূল বিষয়’, বলেন জাহিদ হোসেন।

Comments