নতুন চ্যালেঞ্জ নিতেই ভারতে জামাল

ডেনমার্ক থেকে ২০১১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ট্রায়ালে অংশ নিতে আসেন জামাল ভুঁইয়া। কিন্তু দেশের কন্ডিশন ও ফুটবল মাঠের সঙ্গে কোনোভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি। চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন। দুই বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেই ক্ষান্ত হন তিনি। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা জামালের মজ্জাগত।
ছবি: সংগৃহীত

ডেনমার্ক থেকে ২০১১ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ট্রায়ালে অংশ নিতে আসেন জামাল ভুঁইয়া। কিন্তু দেশের কন্ডিশন ও ফুটবল মাঠের সঙ্গে কোনোভাবেই নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেননি। চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন। দুই বছর পর বাংলাদেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে তুলেই ক্ষান্ত হন তিনি। চ্যালেঞ্জ নেওয়াটা জামালের মজ্জাগত।

তখন থেকেই বাংলাদেশ ফুটবলে নিয়মিত জামাল। যোগ দেন ঘরোয়া ফুটবলে। দেশের বেশ কিছু শীর্ষস্থানীয় ক্লাবে খেলার পর চলতি মৌসুমে যোগ দিয়েছেন কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। কিন্তু হঠাৎ করে কেন দেশ ছাড়ে ভারতে গেলেন জামাল। অনেকেই এ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। তবে নতুন চ্যালেঞ্জ নিতেই পার্শ্ববর্তী দেশে পারি দিয়েছেন এশিয়ার অন্যতম সেরা এ ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার।

শুক্রবার ইনস্টাগ্রামে ইন্ডিয়ান ফুটবলের একটি লাইভ প্রোগ্রামে ভারতে খেলতে যাওয়ার কারণ জানালেন জামাল, 'আমি নতুন চ্যালেঞ্জ চেয়েছিলাম। আমি অনেক বছরে বাংলাদেশে খেলেছি, আমি দেশের সকল খেলোয়াড়, কোচ এবং ক্লাবকে জানি। যখন আমি মোহামেডানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাই তখন আমি এর ব্যাপারে ভাবি এবং আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলি, 'এ চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেখা যাক, আমি কি করতে পারি।' এটাই...'

তবে ভারতে জায়গার আগে মোহামেডান সম্পর্কে খুব ভালো করে জেনেই গিয়েছেন জামাল। এমনকি বাংলাদেশের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি, 'আমি এ ক্লাবে যোগ দেওয়ার আগে অনেকের সঙ্গেই কথা বলেছিলাম যারা মোহামেডান সম্পর্কে জানে। মোহামেডান অনেক বড় ক্লাব, ইতিহাস কতো ঐতিহ্যবাহী। এবং আমাদের বাংলাদেশ জাতীয় দলের সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসের সঙ্গেও কথা বলেছি। সে বলেছে এটা ভারতের অন্যতম বড় ক্লাব এর সমর্থকও অনেক।'

নতুন দেশে নতুন ক্লাবে স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বাড়তি চাপ রয়েছে জামালের। তবে জামাল এসব নিয়ে ভাবছেন না। চাপ না থাকলে ফুটবলই ঠিকভাবে উপভোগ করতে পারেন বলেই জানান এ মিডফিল্ডার, 'এখন আমার কাজ হচ্ছে নিজেকে প্রমাণ করা। ফুটবলার হিসেবে চাপ থাকবেই। এ চাপ ভালো। চাপ না থাকলে কোনো মজাই থাকে না। চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দিতে।'

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

6h ago