লালমনিরহাট-কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে ব্যাহত কৃষিকাজ
কনকনে ঠান্ডায় শরীর স্থবির হয়ে যাচ্ছে। তাই উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ। কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা ঠান্ডার দাপটে মাঠে টিকতে পারছেন না বেশিক্ষণ। তবে, এরপরেও অনেকে ফসলের খেতে কাজ করছেন।
তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তিস্তা ও ধরলা নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও ছিন্নমূল নিম্ন আয়ের মানুষ। এসব মানুষের অধিকাংশের নেই শীতবস্ত্র। তাই তারা খড়কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শরীরে তাঁ দিচ্ছেন।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার দুড়াকুটি গ্রামের কৃষক মনসুর উদ্দিন (৬০) আজ শনিবার সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঠান্ডার কারণে ফসলের খেতে কাজ করতে না পারায় কৃষিকাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঠান্ডা উপেক্ষা করে মাঠে কাজ শুরু করলও বেশিক্ষণ খেতে থাকা যাচ্ছে না। কনকনে ঠান্ডায় হাত-পা ও শরীর স্থবির হয়ে পড়ছে।’
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী গ্রামের কৃষি শ্রমিক নবির হোসেন (৪৬) জানান, ঠান্ডা উপেক্ষা করে তারা মাঠে কাজ করছেন। আগে কৃষকরা তাদের দিনমজুরি দিয়ে কাজ করাতেন। কিন্তু, ঠান্ডার কারণে চুক্তিতে কাজ করাচ্ছেন। ঠান্ডার কারণে খুব বেশি কাজ করা যাচ্ছে না। কিন্তু, সংসারের খরচ চালানোর জন্য কষ্ট করে কাজ করতে হচ্ছে।
একই গ্রামের দিনমজুর মোকলেছা বেওয়া (৪৫) জানান, তাদের শীতবস্ত্র নেই। তাই ঠান্ডায় নিদারুণ কষ্ট ভোগ করছেন। খড়কুটোর আগুন জ্বালিয়ৈ শরীর তাঁ দিয়েও ঠান্ডা নিবারণ হচ্ছে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের তাপমাত্রা রেকর্ডকিপার সুবল চন্দ্র রায় আজ সকালে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল ৮টায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে, রাতের তাপমাত্রা সাধারণত আরও কম থাকে।
লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামিম আশরাফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘ঠান্ডার দাপটে কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে না পারলে কৃষিকাজের মারাত্মক ক্ষতি হবে। ঠান্ডা উপক্ষো করেই অনেক কৃষক ও কৃষিশ্রমিক কাজ করছেন। দুপুরে সূর্যের আলো থাকায় তারা কিছুটা স্বস্তি পান।’
Comments