নিখোঁজের ৪ দিন পর বুড়িগঙ্গা থেকে ট্রাকচালকের মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় নিখোঁজের চারদিন পর বুড়িগঙ্গা নদী থেকে ট্রাকচালক ইয়াকুব মিয়ার (৪৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ বুড়িগঙ্গায় ফেলে দিয়েছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার রাত সোয়া ১০টায় উপজেলার দাপা এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ইয়াকুব মিয়া কিশোরগঞ্জ ভাটিবাড়ি এলাকার মৃত আলতু মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘রাতে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে জানায়। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের মাথা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ গুম করতে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২৯ ডিসেম্বর রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ইয়াকুব। এ ঘটনায় থানায় জানানো হলেও কোনো জিডি করেনি কেউ। পরে খোঁজাখুঁজি করে ইয়াকুবকে পাওয়া যায়নি। রাতে মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজনরা এসে পরিচয় শনাক্ত করেন।’
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পাওনা টাকা নিয়ে ট্রাকমালিকের সঙ্গে ইয়াকুবের কয়েকদিন ধরে বিরোধ চলছিল। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, ওই টাকার বিরোধেই ট্রাকমালিক পক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ফেলে দিয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
Comments