বুড়িগঙ্গা দূষণকারী ৩০ ওয়াশিং প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ হাইকোর্টের

বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণে দায়ী কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুড়িগঙ্গার দ্বিতীয় সেতুর কাছে গত মার্চ মাসে তোলা ছবিতে দূষিত কালো পানি। ছবি: আনিসুর রহমান

বুড়িগঙ্গা নদীর পানি দূষণে দায়ী কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে মামলা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ রোববার একটি রিট আবেদনের শুনানি চলাকালে বুড়িগঙ্গায় বর্জ্য ফেলা এবং এর পানি ও পরিবেশ দূষণ বন্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

যে ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্টের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে সেগুলো হলো- আহমদ হোসেন, আমেনা, সান মুন, ইডেন, বিসমিল্লাহ, লোটাস, গ্লোবাল, রুবেল, আনুশকা, সততা, চঞ্চল, আবদুর রব, ঢাকা, আজান, নিউ সাহারা, দোহার, রিলেটিভ, নিউ নাশা, ইউনিক, মৌ, সেতু, কোয়ালিটি, জোয়েনা, কালাম, ওয়াটার কালার, পার জোয়ার, জিএম, কুমিল্লা, আছিয়া এবং লিলি ওয়াটার ওয়াশিং প্ল্যান্ট।

বুড়িগঙ্গা নদীতে কেউ যেন বর্জ্য ফেলতে না পারে এবং কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যেন এর পানি ও পরিবেশ দূষিত করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রতিনিধিদের বিষয়টি পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রতি মাসের প্রথম রোববার এই নির্দেশনা মেনে চলার অগ্রগতি সম্পর্কে এই আদালতে পৃথক প্রতিবেদন দাখিল করারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুড়িগঙ্গাকে দূষণ থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১০ সালের মে মাসে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) দায়ের করা রিট আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।

শুনানিকালে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মনজিল মুর্শিদ আদালতকে বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী কেরানীগঞ্জ এলাকায় ৩০টি ওয়াশিং প্ল্যান্ট থেকে বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এবং আইন ও আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে নদীর পানি ও পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, অধিদপ্তর দুবার দূষণকারী এসব কারখানা বন্ধ করে দিয়েছিল। পরবর্তীতে তারা আবারও কারখানা চালু করে বুড়িগঙ্গা নদীর পানি ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

মনজিল মুর্শিদ আরও বলেন, এ জাতীয় কারখানার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিধি রয়েছে আইনে। তবে পরিবেশ অধিদপ্তর এখনও কোনো মামলা করেনি।

এসময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী ময়নুল হাসান রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং আইনজীবী আমাতুল করিম পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago