ফিলিস্তিনি যুবককে ইসরায়েলি সেনার গুলি

ইসরায়েলি সেনার গুলিতে হারুন আবু আরম (২৪) নামে ফিলিস্তিনি এক নাগরিকের ঘাড়ের নিচ থেকে শরীরের বাকি অংশ প্যারালাইজ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।
ফাইল ফটো রয়টার্স

ইসরায়েলি সেনার গুলিতে হারুন আবু আরম (২৪) নামে ফিলিস্তিনি এক নাগরিকের ঘাড়ের নিচ থেকে শরীরের বাকি অংশ প্যারালাইজ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, গত ১ জানুয়ারি, শুক্রবার পশ্চিম তীরের দক্ষিণে হেব্রনের কাছে ঘটনাটি ঘটেছিল।

এক ভিডিওতে দেখা গেছে, হারুন আবু আরম এবং আরও তিন জন একটি পোর্টেবল ইলেকট্রিক জেনারেটর ধরে ছিলেন। ইসরায়েলি সেনারা তাদের কাছ থেকে এটি নিতে চেষ্টা করে।

ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গুলির শব্দ শোনা যায় এবং আবু আরমকে মাটিতে পড়ে চিৎকার করতে দেখা যায়।

ভিডিওটি ইসরায়েলি মানবাধিকার সংস্থা এবং ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গণমাধ্যমের কাছে এসে পৌঁছেছে এবং ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, সেনারা আত-তুওয়ানি গ্রামে একটি অবৈধ ভবন বাজেয়াপ্ত ও উচ্ছেদ করতে একটি রুটিন অভিযানে গিয়েছিল। অভিযানের সময় একজন ফিলিস্তিনির গুলিতে আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, অভিযানের সময় তাদের দিকে প্রায় দেড়শ’ ফিলিস্তিনি পাথর ছুঁড়েছিল। যদিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আড়াই-মিনিটের ভিডিওতে এমন কিছু দেখা যায়নি।

এদিকে, ফিলিস্তিনি অধ্যুষিত স্থানীয় গ্রাম কমিটির প্রধান মোহাম্মদ রিব সিএনএনকে জানান, আবু আরমের নিজের পারিবারিক বাড়িটি এক মাস আগে ভেঙে ফেলা হয়েছিল। শুক্রবারের অভিযানের সময় তিনি তার প্রতিবেশীদের সম্পত্তি রক্ষার চেষ্টা করেন।

রিব বলেন, ‘হারুন তার পাড়া প্রতিবেশীদের জেনারেটর ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করছিলেন তখন তার ঘাড়ের পিছনে গুলি করা হয়।’  

বর্তমানে হিব্রোনের একটি হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।

হাসপাতাল থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আবু আরমকে ঘাড়ে গুলি করা হয়েছে, তার স্নায়ু ও মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং চারটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকেজো হয়ে গেছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে যে, আহত আবু আরম কেবল ভেন্টিলেটরের সাহায্যে শ্বাস নিতে পারছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago