নরকিয়ায় বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কার উপর এলগারের ব্যাটের ঝাঁজ

শুরুতে নেমেই ওয়ানডে মেজাজ নিলেন কুশল পেরেরা। তুললেন ফিফটি। কিন্তু এতে দলের খুব একটা লাভ হলো না। তার আউটের পর শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং যেন তাসের ঘর। আনরিক নরকিয়ার পেসের তোপে বিধ্বস্ত হলো তারা, নরকিয়ার সঙ্গে তাল মিলালেন ভিয়ান মুল্ডার। দেড়শো পেরিয়েই তাই গুটিয়ে যায় লঙ্কানদের প্রথম ইনিংসে। জবাবে ব্যাট করতে গিয়ে ডিন এলগারের ব্যাটে বড় রানের পথে দক্ষিণ আফ্রিকা।
জোহেন্সবার্গের বিখ্যাত ওয়ান্ডার্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়েছিল সফরকারীরা। তবে ম্যাচে কোন পরিকল্পনায় আগাবে তার হিসেব নিকেশ করতে পারেননি তারা। লঙ্কানরা ৪০.৩ ওভারেই গুটিয়ে যায় ১৫৭ রানে। দিনশেষে ১ উইকেট হারিয়েই ১৪৮ রান তুলে ফেলেছে প্রোটিয়ারা। এলগার ব্যাট করছেন ৯২ রানে, তার সঙ্গী রাসি ফন ডার ডুসেন আছেন ৪০ রানে।
লঙ্কানদের গুটিয়ে দিতে ক্যারিয়ার সেরা ৫৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন নরকিয়া। মুল্ডার নিয়েছেন ২৫ রানে ৩ উইকেট।
ইনিংসের দশম ওভারে অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেকে ছেঁটে নরকিয়ার উইকেট নেওয়া শুরু। ধুঁকতে থাকা করুনারত্নে ৩২ বলে ২ রান করে নরকিয়ার পেসে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন।
এরপর লাহিরু থিরিমান্নের সঙ্গে একটা জুটি পান পেরেরা। জুটিতে আসে ফিফটি। দ্রুত গতিতে ফিফটি পেরুন পেরেরাও। ৬৭ বলে ১১ চারে ৬০ রান করা পেরেরা আউট হন মুল্ডারের বলে।
আর প্রতিরোধের গল্প নেই খুব একটা। কুশল মেন্ডিস এসে ৪ বল খেলেই মুল্ডারের বলে ক্যাচ দিয়ে যান।
পরের তিন ব্যাটসম্যান মিনুদ ভানুকা, নিরোশান ডিকভেলা, দাসুন শানাকে তুলে নেন নরকিয়া। ১১০ রানেই ৭ উইকেট শেষ হয়ে যায় তাদের।
শেষ দিকে শ্রীলঙ্কা দেড়শো পেরুতে পারে ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গা আর দুশমন্ত চামিরার ব্যাটে। হাসারাঙ্গা ২৯, চামিরা করেন ২২ রান। লঙ্কান ইনিংস মুড়ে দিয়ে ৬ উইকেট তুলেন নরকিয়া।
প্রতিপক্ষ অল্প রানে আটকে নিশ্চিন্তে ব্যাট করতে থাকে স্বাগতিকরা। দলের ৩৪ রানে এইডেন মার্কাম আউট হলেও এলগার ছিলেন অবিচল। ডার ডুসেনকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ১১৪ রান তুলে অবিচ্ছিন্ন আছেন তারা।
প্রথম টেস্টে ইনিংস হারের স্বাদ পাওয়া লঙ্কানরা এই টেস্টেও তাই প্রথম দিন শেষে আছে মহাবিপদে।
Comments