নির্বাচনি আচরণবিধি কেউ মানছে না

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে প্রার্থীদের দুবার জরিমানা করা হলেও অবৈধ পোস্টার এখনো সরানো হয়নি।
কুলাউড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনকালে দেখা যায়, এসব পোস্টার সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও সেগুলো এখনো বহাল তবিয়তেই রয়েছে।
গতকাল সোমবার রাতে ও আজ মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার মাগুরা, শিবির, দক্ষিনবাজার, ও উত্তরবাজারে সরেজমিনে দেখা যায় পোস্টারগুলো সরানো হয়নি।
নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় গতকাল রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম এনডিসির নেতৃত্বে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আহসান ইকবাল, অফিস সহকারী কাজী মো. আনোয়ার হোসেন এবং কুলাউড়া থানা পুলিশ।
মো. আহসান ইকবাল বলেন, ‘প্রচারণায় জীবন্ত প্রতীক ব্যবহার, প্রতীকে আলোকসজ্জা করা, অতিরিক্ত সাইজের পোস্টার ব্যবহার ও গাছে পোস্টার লাগানোর অপরাধে দুজন মেয়র প্রার্থীকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বর্তমান মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আলম ইউনুসকে (নারিকেল গাছ) ১০ হাজার টাকা এবং বিএনপি প্রার্থী ও সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদকে (ধানের শীষ) ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও তিন জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে মোট ১৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’
গত রোববার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করা হয়।
মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গাড়িতে একাধিক মাইক ব্যবহার, নির্দিষ্ট আকারের চেয়ে বড় আকারের পোস্টার ব্যবহার ও দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থানে স্টিকার লাগানোর দায়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সিপার উদ্দিন আহমদকে আট হাজার টাকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শাজান মিয়াকে আট হাজার টাকা জরিমানাসহ নয় জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে মোট ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যুৎ বিভাগের একজন কর্মচারী বলেন, ‘পোস্টারগুলো এতই নিচে ঝুলানো হয়েছে যে সড়কে গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে পারি না।’
তবে চার মেয়র প্রার্থীই দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা পোস্টারগুলো সরানোর চেষ্টা করছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘কেউ যদি পোস্টার না সরায় তাহলে আবার অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হবে। নির্বাচনের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
Comments