এটা রকেট সাইন্স না: হারের ব্যাখ্যায় ক্লপ

ছবি: রয়টার্স

টানা দুটি ম্যাচে ড্র করে গত বছরটা শেষ করেছিল লিভারপুল। তারপরও সাউদাম্পটনের সঙ্গে জয় পেলেই এককভাবে শীর্ষে উঠে দারুণ সুযোগ ছিল দলটির। কিন্তু উল্টো হেরেই গেছে তারা। দলের এমন হারে ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়াই দেখালেন দলের প্রধান কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ।

সোমবার রাতে সেইন্ট মেরিতে সাউদাম্পটনের কাছে ১-০ গোলে হেরেছে ক্লপের দল। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে গোল হজম করে দলটি। জেমস ওয়ার্ড-প্রাউসের ফ্রি-কিক লিভারপুলের রক্ষণভাগ বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ফাঁকায় পেয়ে যান ড্যানি ইঙ্গস। তার নেওয়া শটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। শেষ পর্যন্ত এ গোলটিই ব্যবধান গড়ে দেয়।

এমন হারের পর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ক্লপ। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'হতাশার কি ছিল? আমরা কতো সময় পেয়েছি? শুরুটা, অবশ্যই। আপনি তাদের কাছ থেকে ঠিক কী পেতে যাচ্ছেন তা আপনি জানতেন, আপনি অবাক হতে পারেন না - কিন্তু আমরা অবাক হচ্ছি। শুরুতে, আমরা কীভাবে খেললাম, কোথায় বল হারালাম। এটি রকেট সাইন্স না। আমাদের আরও ভাল করা উচিত ছিল। আমরা শুরু থেকেই তাদের অধীনে খেলেছি।'

পুরো ম্যাচে সাউদাম্পটনের গোলমুখে মাত্র একটি শট লক্ষ্যে নিতে পারে লিভারপুল। সাদিও মানের সে শট ঠেকাতে ম্যাককার্থির ইনজুরিতে জায়গা পাওয়া গোলরক্ষক ফ্রেজার ফর্স্টারকে কোনো পরীক্ষা দিতে হয়নি। সবমিলিয়ে তাই দারুণ হতাশ ক্লপ, 'আমাদের অনেক কাজ করতে হবে তা তারা দেখিয়ে দিয়েছে। আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না। যখন আপনার মোমেন্টাম থাকে না তখন এমনটাই হয়। আমাদের আরও অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করা উচিৎ ছিল।'

তবে ম্যাচে দুটি পেনাল্টি পেলেও পেতে পারতো লিভারপুল। সেক্ষেত্রে ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো বলে মনে করেন ক্লপ, 'এই খেলোয়াড়রা অসাধারণ তবে আজ শুরু থেকে আমরা তৈরি ছিলাম না। সাদিও মানের আজকে একটা পেনাল্টি পাওয়া উচিৎ ছিল। ওইখানে একটি হ্যান্ডবলও হয়েছিল। (কেন দেওয়া হয়নি) আমার এ নিয়ে কোনো ধারনাই নেই। এটা এমন পারফরম্যান্সের অজুহাত নয় তবে আপনি একটি পয়েন্ট পেতে পারতেন যদি তারা এটা দিত।'

Comments

The Daily Star  | English

'Frustrated, Yunus hints at quitting'

Frustrated over recent developments, Chief Adviser Prof Muhammad Yunus is considering stepping down, said sources familiar with what went down at the Chief Adviser’s Office and Jamuna yesterday.

2h ago