করোনার উৎস সন্ধান: ডব্লিউএইচওর দলকে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি চীন

উহান শহরে করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
চীনে বিশেষজ্ঞ দল প্রবেশের অনুমতি না পাওয়ায় হতাশা জানিয়েছেন ডব্লিউএইচও প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস। ছবি: রয়টার্স

উহান শহরে করোনাভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

বিবিসি জানায়, ওই বিশেষজ্ঞ দলের দুই জন ইতোমধ্যেই চীনের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যদের ভিসা অনুমোদন না দেওয়ায় এ নিয়ে জটিলতা দেখা গেছে।

কয়েক মাসের আলোচনার পর গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ডব্লিউএইচওর বিশেষজ্ঞ দলকে অনুমতি দিতে রাজি হয় বেইজিং।

মঙ্গলবার জেনেভায় সাংবাদিকদের ডব্লুউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমি অত্যন্ত হতাশ। আমাকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে যে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া শেষ করে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

চীনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ হয়েছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি এই অভিযানটিকে ডব্লিউএইচও এবং আন্তর্জাতিক দল অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, বিশেষজ্ঞ দলের দুই সদস্য ইতোমধ্যে চীনের পথে রওনা হয়েছেন। অনুমোদন না পাওয়ার কারণে অন্যরা শেষ মুহূর্তে যাত্রা বাতিল করেছেন।

করোনার উৎস অনুসন্ধানে ২০২১ সালে চীনের উহান শহরে ১০ জন আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীর একটি দলের যাওয়ার কথা হয়। গত মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে অনুসন্ধান শুরু হবে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় যে, বিদেশি প্রাণী বিক্রি করে এমন একটি বাজার থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে।

তবে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল অন্য কোথাও হতে পারে। এটি কেবল বাজার থেকে ছড়িয়েছে।

কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে এমন করোনাভাইরাসগুলো কয়েক দশক ধরে বাদুড়ের মধ্যে অপরিবর্তিত ছিল। তবে বাদুড় থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার সময় অন্য কোনও মধ্যবর্তী পশু এটির হোস্ট ছিল কিনা তা জানা যায়নি।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago