এ হামলা ‘লজ্জাজনক’, বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে অধিবেশন চলাকালে ট্রাম্প-সমর্থকদের সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন বিশ্বনেতারা।
Capitol Building
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে অধিবেশন চলাকালে ট্রাম্প-সমর্থকরা হামলা চালায়। ৬ জানুয়ারি ২০২১। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে অধিবেশন চলাকালে ট্রাম্প-সমর্থকদের সহিংস হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন বিশ্বনেতারা।

তারা ওয়াশিংটন ডিসিতে হামলায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এ হামলা ‘লজ্জাজনক’।

পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্রে শান্তি কামনা করেছেন এবং দেশটিতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।

জাতিসংঘ

ক্যাপটল ভবনে হামলায় ‘দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তার মুখপাত্র স্টেফেন দুজারিক এক বার্তায় বলেছেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতাদের উচিত তাদের অনুসারীদের সহিংসতা থেকে সরে আসতে বলা। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো প্রয়োজন।’

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট ভলকান বজকির বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার ঘটনা ‘খুবই উদ্বিগ্ন’।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনকে ‘গণতন্ত্রের তীর্থস্থান’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটনের ঘটনায় আমি খুবই মর্মাহত।’

তিনি যুক্তরাষ্ট্রে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন দার লেয়েন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনর সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।

ন্যাটো

সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ টুইটারে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে।’

যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সমর্থকদের সহিংস হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে জো বাইডেনের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়েছেন।

টুইটারে তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সারা পৃথিবীতে গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেয় এবং সেখানে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর এখন খুবই জরুরি।’

ফ্রান্স

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ কংগ্রেস ভবনে হামলার নিন্দা করে বলেছেন, ‘আমেরিকার গণতন্ত্রের শক্তি সম্পর্কে আমার আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’

এর আগে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জঁ-ইভ লে দিয়াঁ টুইটারে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোও ওপর হামলা, গণতন্ত্রের ওপর হামলার সামিল। আমি এর নিন্দা জানাই। আমেরিকার জনগণের ইচ্ছা ও ভোটের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে হবে।’

জার্মানি

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস টুইটারে বলেছেন, ‘ওয়াশিংটন ডিসির ঘটনাগুলো দেখে গণতন্ত্রের শত্রুরা খুশি হবে।’

তিনি ট্রাম্পকে নির্বাচনের ফল মেনে নেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন।

কানাডা

ওয়াশিংটনের সহিংস দৃশ্য দেখে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমেরিকার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ শক্তিশালী। আশা করি, স্বল্প সময়ের মধ্যেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।’

অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন কংগ্রেস ভবনে সহিংস হামলাকে ‘খুবই হতাশাজনক’ উল্লেখ করে টুইটারে বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া চায় নতুন নির্বাচিত প্রশাসনের হাতে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক।

নিউজিল্যান্ড

নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নানাইয়া মাহুতা বলেছেন, ওয়াশিংটনে যা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। নিউজিল্যান্ড সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর দেখতে চায়।

‘গণতন্ত্রে সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই’ উল্লেখ করে এক টুইটার বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর যা গণতন্ত্রের প্রতীক।’

এছাড়াও, ভেনেজুয়েলা ও তুরস্ক ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্প সমর্থকদের সহিংস হামলার সমালোচনা ও নিন্দা জানিয়েছে।

আরও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের ‘কালো দিন’

ট্রাম্পকে ব্লক করল ফেসবুক-টুইটার

যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্রের ইতিহাসে ‘নজিরবিহীন হামলা’: বাইডেন

ট্রাম্প সমর্থকদের হামলা: ফার্স্ট লেডির চিফ অব স্টাফের পদত্যাগ

ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, সিনেট অধিবেশন আবার শুরু

নিহত ৪: ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবনে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা

ছবিতে কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা

ওয়াশিংটনের কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলা, নিহত ১

Comments

The Daily Star  | English

Deeper crisis feared as 219 factories shut

With 219 garment factories shut amid worker unrest along the industrial belts yesterday, Bangladesh’s apparel sector is feared to get into a deeper crisis if production does not resume on Saturday after the weekend.  

17m ago