শোয়েবদের সমালোচনাকে ‘যৌক্তিক’ বললেন মিসবাহ

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান।
Misbah-ul-Haq
ছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে পাকিস্তান। দলটির সাবেক তারকা শোয়েব আখতারের মতে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্কুল পর্যায়ের ক্রিকেট খেলছে তারা। তার সুরে কথা বলেছেন আরও কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটার। তবে পাল্টা জবাব না দিয়ে এসব তির্যক মন্তব্য মাথা পেতে নিচ্ছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ মিসবাহ উল হক।

কদিন আগে শেষ হওয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে লড়াই করে হেরেছিল পাকিস্তান। মাউন্ট মঙ্গানুইতে পঞ্চম দিনে ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ আর উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ১০১ রানে জয়ী হয় নিউজিল্যান্ড। তবে ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টে অসহায় আত্মসমর্পণ করে সফরকারীরা। তারা ম্যাচ হারে ইনিংস ও ১৭৬ রানের বিশাল ব্যবধানে।

ফলে সমালোচনার আগুনে দগ্ধ হতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। সাবেক ক্রিকেটার মিসবাহও মেনে নিচ্ছেন নিজেদের ব্যর্থতা। দেশে ফিরে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, সামর্থ্যের প্রতিদান না দিতে পারলে এমনটা ঘটা স্বাভাবিক, ‘এসব সমালোচনা যৌক্তিক। এমন পারফরম্যান্সের পর সমালোচনা আমাদের প্রাপ্য। যখন লোকে ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করে আমাদের কাছে, কিন্তু আমরা তা পূরণ করতে পারি না, তখন সমালোচনার শিকার হওয়াটা ন্যায্য।’

‘প্রথম টেস্টে আমরা যেভাবে লড়াই করেছিলাম তা খুব ভালো ছিল। তাই দ্বিতীয় টেস্টেও সকলে একইরকম পারফরম্যান্সের প্রত্যাশা করেছিল। কিন্তু তা হয়নি। সিরিজে আমাদের ম্যাচ জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু আমরা সেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি।’

দুটি ম্যাচেই অনেকগুলো ক্যাচ হাতছাড়া করে পাকিস্তান। তাদের ফিল্ডিংয়ের করুণ দশার ফায়দা তুলে নিয়ে কিউই ব্যাটসম্যানরা ঘোরায় ছড়ি। একে হারের অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে উন্নতির রাস্তা খুঁজছেন মিসবাহ, ‘আমাদের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, যেটা অতীতেও পাকিস্তান ক্রিকেটে দেখা গেছে, ক্যাচগুলো ঠিকমতো নেওয়া। দুই টেস্টেই অনেক ক্যাচ হাতছাড়া করেছি আমরা। এটা নিয়ে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago