শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ: আসামির ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
![DC_Ramna_8Jan21.jpg DC_Ramna_8Jan21.jpg](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/dc_ramna_8jan21.jpg?itok=BBqD0MmE×tamp=1610094842)
রাজধানী ঢাকার কলাবাগান এলাকায় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ড’র ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পরে হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন জানাবে পুলিশ।
আজ শুক্রবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় এলাকায় ক্রাইম রিপোটার্স ইউনিটির বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার সাজ্জাদুর রহমান এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় দাবি করা হয়েছে, ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বলেছি, ধর্ষণ হয়েছে কি না এটা পরীক্ষার পরে বলা যাবে। আমরা ভ্যাজাইনাল সোয়াব এবং কেমিক্যাল টেস্টের কথা বলেছি।’
‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে অনেকে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। যদি আরও কেউ এ ঘটনায় জড়িত থাকে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে’— বলেন সাজ্জাদুর রহমান।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে কোথাও কোনো চাঁদাবাজির প্রশ্নই ওঠে না, এটা অন্যায় কাজ। কেউ চাঁদাবাজি করলে সেটাও আমরা সমর্থন করবো না। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। আর পুলিশের কেউ যদি দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কোনো ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়, তার বিরুদ্ধেও আমরা কঠোরতম ব্যবস্থা নেবো। আমরা হাইলি ট্রান্সপারেন্ট। বাংলাদেশ পুলিশের লক্ষ্য অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। আমরা শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি নিয়েছি। মাদকসেবীদের পুলিশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। সব র্যাংকে র্যানডম ডোপ টেস্ট করছি আমরা। কেবল মাদকসেবী না, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকলেও আমরা শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি বাস্তবায়ন করছি।’
আরও পড়ুন
‘ধর্ষণের বিষয়টি লুকাতে নেওয়া হয়েছিল হাসপাতালে’
কলাবাগানে ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
Comments