‘সম্ভব হলে ম্যারাডোনাকে দলে নিতাম, কিন্তু তিনি মৃত’
রেমন্ড ডমেনেখকে মনে আছে? কোচ হিসেবে ২০০৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। যদিও শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে দলটি হেরে যায় ইতালির কাছে। বিশ্বকাপের পরের আসরেও ফরাসিদের ডাগআউটে ছিলেন তিনি। কিন্তু সেবার ভরাডুবি হয়েছিল তাদের। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল তারা।
তবে তার চেয়েও আলোড়ন তুলেছিল ডমেনেখের সঙ্গে স্ট্রাইকার নিকলাস আনেলকার দ্বন্দ্বের খবর। দুজনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের প্রেক্ষিতে আনেলকাকে বিশ্বকাপের মাঝপথে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরেকটি ঘটনার প্রতিবাদে গোটা ফ্রান্স দল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের আগে অনুশীলন করতে অস্বীকৃতি জানায়। ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) শাস্তির হুমকিতে খেলোয়াড়রা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেও হার দিয়ে আসর শেষ করে ব্লুজরা। ওই ম্যাচের পর প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের সঙ্গে করমর্দন করতে অস্বীকৃতি জানান ডমেনেখ। আর অবধারিতভাবে জাতীয় দলের কোচের চাকরিটাও তার টেকেনি।
সেই ডমেনেখের খ্যাতি (!) রয়েছে বেফাঁস মন্তব্যের জন্য। বর্তমানে ফরাসি লিগ ওয়ানের দল নঁতের কোচের দায়িত্বে আছেন তিনি। শুক্রবার ক্লাবটির সংবাদ সম্মেলনে মেজাজ ধরে রাখতে পারেননি সাবেক এই ফুটবলার। এক প্রশ্নের জবাবে স্বভাবসুলভ কায়দায় বলেন, ‘আমি এই চুক্তির বিষয়টি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করিনি। তবে সে এখন ব্রেস্তে রয়েছে। (দলবদলের) বিষয়টা এমনই। আমি তো (দিয়েগো) ম্যারাডোনাকেও দলে নিতে চাই। তবে তিনি মারা গেছেন।’
প্রশ্নকর্তার উপর ক্ষেপে গিয়েই প্রয়াত আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনার নাম উল্লেখ করে এমন বক্তব্য দেন ডমেনেখ। যা জন্ম দিয়েছে নতুন বিতর্কের। কিন্তু কী এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল যার কারণে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছিলেন ৬৮ বছর বয়সী এই কোচ? জবাবটা জানলে অবাক হতেই হয়। অলিম্পিক লিওঁর জ্যাঁ লুকাসকে দলে টানতে আগ্রহী ছিল নঁতে। কিন্তু ২২ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ধারে নাম লিখিয়েছেন ব্রেস্তে। বিষয়টি নিয়ে ডমেনেখের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে অমন জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
২০০৭ সালেও লাগামছাড়া কথা-বার্তার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ডমেনেখ। ইংলিশ ক্লাব চেলসির তৎকালীন কোচ জোসে মরিনহো তার বিরুদ্ধে মিডফিল্ডার ক্লদ ম্যাকলেলের সঙ্গে ‘ক্রীতদাসের মতো’ আচরণের অভিযোগ তুলেছিলেন। ডমেনেখ পাল্টা জবাবে বলেছিলেন, ‘যতক্ষণ সে হাঁটতে পারবে, ততক্ষণ সে খেলবে। ওকে (ফ্রান্স দলের জন্য) নির্বাচন করার অধিকার আমার আছে।’
Comments