আল্লাহর গজব পড়বে, আমি ঈমানদার: কাদের মির্জা

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আল্লাহর গজব পড়বে। আমি ঈমানদার।’
Abdul Kader Mirza
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে নির্বাচনী পথসভায় বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা। ১০ জানুয়ারি ২০২১। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আল্লাহর গজব পড়বে। আমি ঈমানদার।’

তিনি বলেছেন, ‘তাদেরকে (কেন্দ্রীয় নেতাদের) তোষামোদ করতে হবে। এগুলোর আমার দরকার নেই। আমি স্পষ্ট কথা বলি। আমি বেঈমানের চেহারা একটু দেখব। আমি ওয়াদা রক্ষা করি।... কেন্দ্র থেকে এ পর্যন্ত যারা এগুলো করতেছে, আল্লাহর গজব পড়বে। আমি ঈমানদার।’

আজ রোববার সকালে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচনী পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘নোয়াখালী আওয়ামী লীগ ও ফেনী আওয়ামী লীগ নেতারা আমার বিরুদ্ধে অস্ত্র-শস্ত্র পাঠিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে নেই। পৌরসভা আওয়ামী লীগ আমার সঙ্গে নেই। ডিসি, এসপি, নির্বাচন কর্মকর্তা আমার সঙ্গে নেই।’

সে সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা কি আমার সঙ্গে থাকবেন?’

কাদের মির্জা বলেছেন, ‘আমি সত্য কথা বলতেছি। আমি সত্য কথা বলব। এরা কেউ আমার সঙ্গে নেই। আমার এখানে যারা আসেন, তারা চেহারা দেখানোর জন্য আসেন।’

তার মতে, বসুরহাট লোকজন ওবায়দুল কাদেরকে ভয় পান। তারা একরাম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীকে ভয় পান।

‘আসতে যেতে সারাই (মেরে) দেয় কি না? বুঝছেন কি না? এটা হলো মূল ঘটনা। আপনারা থাকলে যথেষ্ট। আমার কর্মীও যথেষ্ট নাই। যাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা আজকেও পর্যন্ত চিঠি বিলি করে নাই। কাউন্সিলর ভোট নিয়ে ব্যস্ত,’ যোগ করেন তিনি।

মোবাইল ফোনে তাকে এক নারী যুব মহিলা লীগের পরিচয় দিয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ  করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, বিষয়টি তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাকে বড় নেতা হতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, ‘ছাত্র জীবনে আমি ঢাকায় ভর্তি হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তিনি আমাকে চট্টগ্রামে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।… ওবায়দুল কাদেরের ধারণা ছিল আমি ঢাকায় পড়াশোনা করে রাজনীতি করলে হয়তা তার চেয়ে বড় নেতা হয়ে যাব। তাই তিনি চাননি আমি ঢাকায় পড়াশোনা করি।’

‘আমি ৪৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমি যখন নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি নিয়ে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলি তখন দলের এক শ্রেণির চাটুকার আমার বক্তব্যকে এডিট ও বিকৃত করে তার অডিও-ভিডিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার ভাই ওবায়দুল কাদেরের কাছে পাঠায়। নেতাদের হিংসা আমার মিটিংয়ে কেন এতো লোক হয়।’

বড়ভাই ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এ লোক আমাকে পাগল-উন্মাদ বলে। আমি কি পাগল-উন্মাদ? আমি যখন অন্যায়ের প্রতিবাদ করি, নোয়াখালী, ফেনীর অপরাজনীতির কথা প্রতিবাদ করি, ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি, আমি আমার এলাকার মানুষের ন্যায্য অধিকার, গ্যাসের অধিকারের জন্য আমি কথা বলি, আমার এলাকার যেখানে গ্যাস পাওয়া গিয়েছে সেটার নাম শাহজাদপুর, হাবিবপুর। আজ সেখানে সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র লেখা হয়। আমি এর প্রতিবাদ করি।’

‘আমি যখন বলি ওবায়দুল কাদের সাহেবের ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়ার কথা বলছে, সে চাকরি কোথায়? আমি যখন প্রতিবাদ করি তখন বলে আমি নাকি পাগল, আমি উন্মাদ।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago