ভুক্তভোগী নারী-শিশুদের ওপর দায় চাপানোর প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় এমজেএফের উদ্বেগ

দেশে অব্যাহতভাবে ধর্ষণের ঘটনা, ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষণের সঙ্গে নিষ্ঠুরতা, ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুদের ওপর দায় চাপানোর প্রবণতা বা ভিকটিম ব্লেইমিং এবং সামাজিক মাধ্যমে নানাধরনের কুরুচিকর মন্তব্য বেড়ে যাওয়ায় মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

সেই সঙ্গে ভিকটিম ব্লেইমিং করাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জনিয়েছে সংগঠনটি।

আজ সোমাবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি বলেছে, ‘এমজেএফ মনে করে একটার পর একটা নারী ও শিশু ধর্ষণের ঘটনা দেশবাসীকে খুবই ব্যথিত করছে এবং উদ্বেগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কারণ বিভিন্ন ধরনের ক্ষমতা বলয়ের কারণে ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের অনেককেই বিচারের আওতায় আনা যাচ্ছে না।’

এমজেএফের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় ধর্ষণের ঘটনা না থেমে বরং বেড়েই চলেছে। তাই আমরা সব ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচারের নিশ্চয়তা চাইছি।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘কলাবাগানে “ও” লেভেলের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, ধর্ষণের আগে নির্যাতন এবং নিহত মেয়ে, তার স্কুল ও পরিবারের প্রতি নানাধরনের অভিযোগ আনায়, আমরা খুবই মর্মাহত। আমরা দেখেছি ধর্ষণের শিকার নারী ও শিশুর প্রতি দোষ দেওয়ার ফলে প্রকৃত দোষীরা আস্কারা পায় এবং এসব কাজে আরও উৎসাহিত বোধ করে।’

‘এমজেএফ তাদের পরিসংখ্যানে দেখেছে যে বছরের পর বছর শিশু ও নারী নির্যাতন এবং ধর্ষণের ঘটনা বাড়ছেই’ উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এমনকী করোনা চলাকালীন সাধারণ ছুটির সময়েও নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন থেমে ছিল না, বিশেষ করে পারিবারিক নির্যাতন।’

‘পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০২১ সালের প্রথম সপ্তাহেই ১১টি ধর্ষণের ঘটনা সংবাদ পাওয়া গেছে সারাদেশে। অব্যাহত প্রতিবাদ, মৃত্যুদণ্ডের বিধান থাকার পরেও কেন ধর্ষণের হার বাড়ছে? বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা, নানা ধরনের আর্থ-রাজনৈতিক-সামাজিক প্রভাব ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আইনপ্রয়োগকারীর সংস্থার সদিচ্ছার অভাব এই জন্য দায়ী।’

‘তিনবছর আগে কলেজ ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত হওয়ার পর আরও অসংখ্য নারী ও শিশু এই ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছেন।’

সংগঠনটি কলাবাগানে ও এর আগে-পরে সংঘটিত সব ধর্ষণ ঘটনার দ্রুত বিচার দাবি করে নিহতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

1h ago