ক্যাচিং ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ে উন্নতির তাগিদ কুকের
গ্রাউন্ড ফিল্ডিং নিয়ে প্রায়ই বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে। তার সঙ্গে ক্যাচ মিস তো থাকছেই। অনেক জয়ই তাই হাতছাড়া হয়েছে এভাবে। এবার এসব দিকে উন্নতি করার তাগিদ দেখছেন বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক। আগামী দুই বছরের মধ্যে ক্রিকেটাররা উন্নতি করতে পারবেন বলে আশাবাদী তিনি।
উইন্ডিজ সিরিজকে সামনে রেখে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন দ্বিতীয় দিনের মতো অনুশীলন করেছেন ক্রিকেটাররা। দিনের শুরুতেই ফিল্ডিং নিয়ে লম্বা সময় অনুশীলন করতে দেখা যায় তাদের। গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের পাশাপাশি থ্রোয়িং ও ক্যাচ নিয়েও অনুশীলন করেছে তারা। এরপর নেটে বোলিং ও ব্যাটিং অনুশীলনে যোগ দেন ক্রিকেটাররা।
অনুশীলনের ফাঁকেই কুক জানিয়েছেন নিজের লক্ষ্যের কথা, 'আমার মনে হয় তাদের মধ্যে দারুণ এনার্জি আছে। তারা নিজেদের ফিল্ডিং নিয়ে পরিশ্রম করছে। অতিরিক্ত কাজও করতে চাচ্ছে এবং দারুণ চেষ্টা করছে যা আমি পছন্দ করি। তাদের টেকনিক নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে, বিশেষ করে ক্যাচিং এবং গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের কিছু দিক নিয়ে। তাদের থ্রোয়িং বেশ ভালো। তাই আমি আশা করছি তাদের যে উন্নতি করার এই উৎসাহ, তা আগামী দুই বছরে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।'
উইন্ডিজ সিরিজের মাধ্যমে লকডাউনের পর এই প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তবে এর মাঝে ঘরোয়া পর্যায়ে দুটি সীমিত ওভারের টুর্নামেন্ট খেলেছে তারা। যে কারণে লম্বা সময়ের এ বিরতির পরও মাঠে কোনো সমস্যা হবে না বলেই মনে করেন ফিল্ডিং কোচ, 'আমার মনে হয় তারা বেশ কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ পেয়েছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে। পঞ্চাশ ওভারের টুর্নামেন্টের সময় আমি এখানে ছিলাম এবং সেখানে তাদের ফিল্ডিং খুবই প্রশংসনীয় ছিল। সবারই বেশ সুস্থ, সতেজ এবং প্রস্তুত থাকবার কথা।'
তারপরও লম্বা সময় পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নামায় ধীরে ধীরে ক্রিকেটাররা মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান কুক, 'খেলোয়াড়রা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পর একটি বিরতি থেকে ফিরেছে। তাই তাদেরকে ধীরে ধীরে অনুশীলনের মধ্যে ফিরিয়ে আনছি, মাঠে তাদের মুভমেন্ট এবং বেসিকের ওপর কাজ করছি, তাদের থ্রোয়িংকে আগের জায়গায় আনার চেষ্টা করছি যেহেতু বেশ কিছু সময় পর তারা ফিরছে। কিছু ক্ষেত্রে আপনি একটু অনভ্যস্ত হয়ে গিয়ে চোট বাধাতে পারেন। তাই তাদেরকে ধীরে ধীরে আগের জায়গায় আনার চেষ্টা করছি। সিরিজের কাছাকাছি আসতে আসতে আমরা অনুশীলনের তীব্রতা বাড়াবো।'
আগামী ২০ জানুয়ারি মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে খেলবে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২ জানুয়ারি একই ভেন্যুতে হবে দ্বিতীয় ম্যাচ। ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হবে শেষ ওয়ানডে। এরপর আগামী ২৮ জানুয়ারি থেকে চার দিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার পর জহুর আহমেদে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াবে মিরপুরে।
Comments