বড়পুকুরিয়া কয়লা কেলেঙ্কারি: ৬ সাবেক এমডিসহ ২২ অভিযুক্ত কারাগারে

১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ছয় জন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২২ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন দিনাজপুরের একটি আদালত।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি। ছবি: কংকন কর্মকার

১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা কেলেঙ্কারি মামলায় জামিনের আবেদন খারিজ করে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ছয় জন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২২ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন দিনাজপুরের একটি আদালত।

দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিশেষ বিচারক মাহমুদুল করিম বুধবার জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতে হাজির হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বুধবার ছিল মামলার শুনানির দিন।

তবে আদালত সূত্র জানায়, এ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি এবং আদালত তারিখ স্থগিত করেছেন। দিনাজপুরের আদালত পরিদর্শক ইসরাফিল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কয়লা চুরির ঘটনায় হওয়া মামলায় দুদক সদর দপ্তরের উপপরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শামসুল আলমের পক্ষে দিনাজপুরের দুদকের উপপরিচালক আবু হেনা আশিকুর রহমান ২০১৯ সালের ২৪ জুলাই সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

কয়লা কেলেঙ্কারি ঘটনাটি ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই ধরা পড়ে। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই খনি পরিদর্শনের সময় পেট্রোবাংলার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইয়ার্ডে কয়লার ঘাটতি খুঁজে পান। পরের দিন কর্তৃপক্ষ স্টকের বিপরীতে ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা কম পান।

ঘাটতি কয়লার বাজার মূল্য ছিল প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। এই ঘটনা সারা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল।

কয়লার ঘটতিতে পিডিবির ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়েছে যায়। আবার কয়লা উত্তোলন শুরু করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যেতে প্রায় ৫৩ দিন সময় লেগে যায়।

এই কেলেঙ্কারির পর থেকে ইটভাটায় খনির কয়লা বিক্রি স্থগিত রাখা হয়। দুদকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও ঘটনার পরপরই খনি পরিদর্শন করেন। পরে দুদকই এই মামলার তদন্ত শুরু করে।

২০১৮ সালের ২৪ জুলাই বিসিএমসিএল-এর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান ১৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পার্বতীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষ করার পর দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা সাত জন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ খনির ২৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

আদালত সূত্র জানায়, তাদের মধ্যে মাহবুবুর রহমান সম্প্রতি মারা গেছেন।

এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর অভিযুক্তদের জামিন চেয়ে বিশেষ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আদালত তখন জামিন মঞ্জুর করলেও, দুজনকে কারাগারে পাঠান যাদের মধ্যে তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালকও রয়েছেন।

তবে আদালত সূত্র জানায়, দেড় মাস পর তারা জামিন পেয়েছিলেন।

আরও পড়ুন:

১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব!

কয়লা গায়েব: বন্ধ হওয়ার পথে বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন

কয়লা আমদানি করে বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা ভাবছে সরকার

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago