সালথার ওসি প্রত্যাহার
ফরিদপুরের সালথায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গালিগালাজ ও লাঠিপেটার অভিযোগ ওঠায় সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকালে মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ সালথা থানা থেকে প্রত্যাহার করে ফরিদপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলীমুজ্জামান জানান, সালথার ওসির বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাকে লাঠিপেটা করার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি তদন্ত করতে গত ৯ জানুয়ারি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) জামাল পাশার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু, তদন্ত করে এই অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বা সত্যতাও মেলেনি। তবে, স্থানীয় সামাজিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির বিষয়টি বিবেচনা করে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, গত ৮ জানুয়ারি সালথার মাঝারদিয়া গ্রামে দুইদল গ্রামবাসী মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষের নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিপেটা করে, ১৪টি কাঁদানে গ্যাসের সেল এবং শটগানের ৫৬টি গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনা শুনে খলিশপুট্টি গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ ওঠে এ সময় তিনি পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হয়ে আহত হন।
পরদিন ৯ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশারফ হোসেনকে গালিগালাজ ও লাঠিপেটার অভিযোগ এনে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহারের দাবি জানান বীর মুক্তিযোদ্ধারা। তারা সালথা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। ওই একই দাবিতে গত মঙ্গলবার মানববন্ধন করেন নগরকান্দা উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
Comments