বাংলাদেশে বিট কয়েন প্রতারণা চক্রের মূল হোতা গ্রেপ্তার

অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে করতেন ওয়েব ডেভেলপিংয়ের কাজ। আর, গত বছরের জুন থেকে এক পাকিস্তানি নাগরিকের সহায়তায় শুরু করেন বিট কয়েনের নামে প্রতারণা। সম্প্রতি কিনেছে এক কোটি সাত লাখ টাকা দামের একটি অডি গাড়ি। বাংলাদেশে বিট কয়েন প্রতারণা চক্রের এই মূল হোতা মো. রায়হান হোসেন ওরফে রায়হানকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সফিপুর দক্ষিণপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ১৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২টি সিমকার্ড, ২৫ মার্কিন ডলার, একটি কম্পিউটার, তিনটি মোবাইল ফোন, তিনটি ভুয়া চালান বই, একটি ট্রেড লাইসেন্স, একটি টিন সার্টিফিকেট, একটি মাইক্রোফোন, একটি ক্যামেরা, একটি রাউটার, একটি হেডফোন, একটি মডেম ও বিভিন্ন ব্যাংকের চারটি চেক বই জব্দ করা হয়।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অনলাইনে নিষিদ্ধ বিট কয়েন (ভার্চুয়াল মুদ্রা) কেনাবেচা ও প্রতারণার মাস্টারমাইন্ড রায়হান সম্প্রতি এক কোটি সাত লাখ টাকা দামের অডি গাড়ি কিনেছেন। মাত্র এক মাসে তার অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ ইউএস ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। তার একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৫ লাখ টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে।’

তিনি জানান, রায়হান ২০০৬ সালে কম্পিউটারের ওপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ২০১১ সাল থেকে ওয়েব ডেভেলপিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইউটিউব চ্যানেল পরিচালনার কাজ করছিলেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার বলেন, ‘প্রতারক রায়হান এমআরএইচ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট নামে একটি কোম্পানির পরিচয় দিয়ে বিট কয়েনের নামে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়। তার ২৫০টি বিট কয়েন অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। অষ্টম শ্রেণি পাশ রায়হান নিজেই পরিচয়পত্র তৈরি করত। গত আট বছর ধরে সে অনলাইন আউটসোর্সিং ব্যবসা করে আসছিল।’

‘রায়হান বিট কয়েনের মাধ্যমে সাধারণ লোকজনের টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণাসহ মানি লন্ডারিং, ক্রেডিট কার্ড হ্যাকিং ও বিপুল অংকের বিট কয়েন লেনদেন করেছে,’ যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Trump, Musk feud explodes with threats of cutting contracts, backing impeachment

The hostilities began when Trump criticized Tesla CEO Musk in the Oval Office.

43m ago